শীতের আমেজ পড়তেই চারদিকে শুরু হয়েছে উৎসবের মরশুম। বড়দিন থেকে নতুন বছরের উদযাপন উৎসবে মাতোয়ারা গোটা দুনিয়া। আর নতুন বছর আসার আগেই ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা। দরজায় কড়া নাড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আম আদমি থেকে সেলিব্রেটি সকলেই মাশুল গুনছেন তার।
সদ্য শেষ হয়েছে বড়দিন। আর সেদিন নিজের বাড়িতেই ক্রিসমাস সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় পরিচালক-অভিনেত্রী শতরূপা সান্যালের দুই মেয়ে চিত্রাঙ্গদা এবং ঋতাভরী। সেই পার্টি থেকেই করোনা থাবা বসিয়েছে ঋতাভরীর দিদি চিত্রাঙ্গদার শরীরে।উল্লেখ্য নতুন বছরের শুরুতেই ৯ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল চিত্রাঙ্গদার।
কিন্তু তার হঠাৎ করে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও একরাশ মনখারাপ নিয়েই বিয়ে পিছিয়ে দিচ্ছেন মডেল- অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা এবং তার হবু স্বামী তথা মিউজিশিয়ান সম্বিত চট্টোপাধ্যায়। জানা গেছে বড়দিনে রাতভর পার্টির পরেই গলা ব্যথা শুরু হয় চিত্রাঙ্গদার,জ্বরও আসে। এরপর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই নিজেকে সবার সরিয়ে নেন চিত্রাঙ্গদা।
জানা যাচ্ছে বড়দিনে সান্যাল বাড়িতে যে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে ঋতাভরীর যে বন্ধুরা এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন ছিল করোনা পজিটিভ। আর তার থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ঋতাভরীর সহকারী মধুজাও। অন্যদিকে শতরূপা এবং ঋতাভরীর করোনা পরীক্ষা করা হলেও এখনও পর্যন্ত তারা রিপোর্ট হাতে পাননি বলেই খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতাভরীর মা শতরূপা জানিয়েছেন ‘মাথাব্যথা বা গলাব্যথা ছাড়া ওর আর কোনও সমস্যা নেই। স্বাদ, গন্ধ সবই আছে। তবে ঘর থেকে একেবারেই বেরোচ্ছে না। ফোনে আমার থেকে সব জেনে নিচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলছে।’ তবে বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ায় চিত্রাঙ্গদার মতোই মন খারাপ তার হবু শ্বশুর বাড়িতেও।