আগেই জানা যায়, মারণ রোগ ক্যান্সার (Cancer) দ্বিতীয় বারের মতো থাবা বসিয়েছিল ‘জিয়ন কাঠি’ খ্যাত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার দেহে। সেই থেকে অন্ধকার ভেদ করে দিনের পর দিন কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে শেষমেশ আলোর পথের দিশারী হয়ে উঠেছেন ঐন্দ্রিলা। বেঁচে থাকার তাঁর প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি আর মানসিক জোর আজ অসংখ্য মানুষের কাছে কাছে অনুপ্রেরণা।
আর জীবনের এই কঠিন লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলা নিজের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সর্বক্ষণ পাশে পেয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরি। ঐন্দ্রিলাকে মনের জোর দিতে তাকে একমুহূর্তের জন্যও কাছ ছাড়া করেননি সব্যসাচী। সর্বক্ষণ পরম যত্নে আগলে রেখেছিলেন তাকে। তাই প্রেমিকার জীবনের চরম কঠিনতম সময় গুলোতে সব্যসাচী যেভাবে তার হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন তাতে অসংখ্য অনুরাগী কুর্নিশ জানিয়েছেন তাকে।
তবে এখন কেমোথেরাপির সেই প্রবল কষ্ট কাটিয়ে উঠেছেন ঐন্দ্রিলা। তার লড়াইয় আর অসংখ্য মানুষের প্রার্থনার কাছে হার মেনেছে মারণ রোগ ক্যান্সার। তাই লাস্ট কেমোথেরাপির শেষে এই জয়ের আনন্দ উদযাপন করলেন ঐন্দ্রিলা ও তার পরিবার। সাথে ছিলেন অভিনেত্রীর সবচেয়ে কাছের মানুষ সব্যসাচীও। এ যেন ঐন্দ্রিলার সত্যিকারের নতুন জন্ম। তাই কেক কেটে সেলিব্রেট করলেন এই বিশেষ দিন।
উল্লেখ্য একথা হয়তো অনেকেই জানেন না ঐন্দ্রিলার এই কঠিন লড়াইয়ে শুরু থেকেই তাকে সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন টলি অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি এবং পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। শুভশ্রীর কাছে ঐন্দ্রিলা হলেন ‘টাইগ্রের, অর্থাৎ বাঘিনী’। এদিন ঐন্দ্রিলাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি কেক পাঠিয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী গাঙ্গুলি। সেই কেকের পাশেই ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘বাঘিনী তুমি করে দেখিয়েছো’
এদিন মা,বাবা, বোন প্রিয় দুই পোষ্য এবং সব্যসাচীকে পাশে নিয়ে কেক কাটার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। ক্যাপশনে রোগমুক্তির কথা জানিয়ে দীর্ঘ বার্তায় অভিনেত্রী লিখেছেন ‘দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান। আজ যে আমি কেমন অনুভব করছি তা বলে বোঝাতে পারবো না। হয়তো এই দিনটি দেখতে পেতাম না, যদি আমার পরিবার ও সব্যসাচী পাশে না থাকতো, পাশে থাকা কাকে বলে আমি জেনেছি এই এক বছরে।’ সেইসাথে অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী লিখেছেন ‘ধন্যবাদ জানিয়ে কাউকে ছোট করবো না। শুধু একটাই কথা বলতে চাই। আপনারা আছেন, তাই আমি আছি।’
View this post on Instagram