সংখ্যায় মাপলে মিলিন্দ সোমনের (Milind soman) বয়স প্রায় ৬০ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু তার মেদহীন টানটান পেটানো চেহারা, ফিটনেস, স্টাইল স্টেটমেন্ট যেন সেকথা মানতে নারাজ। মিলিন্দ একাধারে একজন মডেল তথা অভিনেতা। কিন্তু তার ফিটনেস দেখে হার্টবিট বেড়ে যায় অষ্টাদশীর যুবতীদেরও। কথায় আছে ‘বয়স একটা সংখ্যা মাত্র’। যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই বয়স কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। বিশেষ করে প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
বলিউডের এই জুটিদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হলেন মিলন্দ সোমান এবং অঙ্কিতা কোনোয়ার। মিলিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতার মধ্যে বয়সের পার্থক্য ২৬ বছর। যা শুনে ভ্রু কুঁচকান অনেকেই। কিন্তু তাতে জুটির থোরাই কেয়ার। অঙ্কিতার সাথে মিলিন্দের এটা দ্বিতীয় বিয়ে। তবে অঙ্কিতার সাথে আলাপের পর নিজকে পরিপূর্ণ বলে মনে করেন, মিলিন্দ। জানা যায়, পাঁচ বছর চুটিয়ে প্রেম এবং ডেটিংয়ের পর্ব সেরে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এখন অনেকেরই প্রশ্ন এত বয়সের পার্থক্য থাকায় তাদের সেক্সলাইফ কেমন। এই প্রশ্নের উত্তরে মিলিন্দ বারংবারই জানিয়েছেন সব রকম ভাবেই তিনি এবং তার স্ত্রী ভালো আছেন। নিন্দুকের মুখে ছাঁই দিয়ে মিলিন্দ বারংনারই প্রমাণ করেছেন নিজের ফিটনেস৷ গোয়ার সমুদ্রে তার নগ্নাবস্থায় দৌড় দেখে চমকে গিয়েছিলেন ৮ থেকে ৮০।
তবে এতদিন আকারে ইঙ্গিতে বোঝালেও এবার প্রকাশ্যেই নিজের সেক্স লাইফ নিয়ে মুখ খুললেন মিলিন্দ। তিনি জানান স্ত্রীয়ের সাথে তার ২৬ বছরের তফাৎ থাকলেও বিছানায় তাকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন মিলিন্দ। এমনকি কখনও-সখনও তাঁর নিজেকে অঙ্কিতার থেকেও কমবয়সি মনে হয়।
মিলিন্দের কথায়, ‘‘অনেকেই আমার যৌনজীবন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাঁরা এটাও জানতে চান ৩০ বছরের স্ত্রীকে আমি সুখী রাখি কী ভাবে! তাদের বলতে চাই শারিরীক সম্পর্কে আমরা দুজনেই দুজনকে সুখী রাখি। কখনো কখনো ওই সময় ওর চেয়েও আমার বয়স কমে গেছে মনে হয়”। মিলিন্দের কথায়, সুস্থ যৌনজীবন দু’টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সুস্থ শরীর এবং সুস্থ মন। এবং এই দুটিই মিলিন্দের মধ্যে রয়েছে বলে জানান অভিনেতা।