ভারতীয় সঙ্গীত জগতের দুই কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী হলেন মহম্মদ রফি (Mohammad Rafi) এবং কিশোর কুমার (Kishore Kumar)। একটা সময় এমন ছিল যখন, একাধিক ফিল্ম ম্যাগাজিন সহ নানান মিডিয়া রিপোর্টে প্রায়শই উঠে আসত মহম্মদ রফি এবং কিশোর কুমারের মধ্যে সারাক্ষণ চলতে থাকা ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা। তবে এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন মহম্মদ রফির ছেলে শাহিদ রফি (Shahid Rafi)।
জানা যায় ‘আরাধনা’ ছবির পরেই মহম্মদ রফির শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা রাতারাতি জুড়ে যায় কিশোর কুমারের মুকুটে। শোনা যায় এরপর থেকেই নাকি কিশোর কুমারের সঙ্গে মহম্মদ রফির একটা ঠান্ডা লড়াই ছিল। তাতে মান্যতা দিয়েছে বলিউডের একটা বড় অংশ। তবে সবটাই নাকি জল্পনা। বাস্তবে মহম্মদ রফি এবং কিশোর কুমার একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
এমনকি একে অপরের সাথে সময় কাটাতে অনেক আড্ডা এবং মজা করে একে অপরের সাথে অনেক সন্ধ্যাও তারা একসাথে কাটিয়েছেন বলে জানা যায়। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন মহম্মদ রফির ছেলে শাহিদ রফি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন কোনওদিন তিনি তার বাবার মুখ থেকে তিনি কিশোর কুমারের ব্যাপারে কোনও নিন্দা শোনেননি।
সেইসাথে তিনি আরও বলেন ‘তারা দু’জনে পরস্পরের দারুণ বন্ধু ছিলেন। কিশোরদা তো আমার বাবাকে দারুণ সম্মান করতেন।’ উল্টে, কিশোর কুমারের সাথে গান গেয়ে বাড়ি ফিরে দারুন খুশি হয়ে যেতেন তিনি। আর বাড়ি এসে সবাইকে বলতেন ‘আজ খুব মজা হয়েছে।’ কারণ হিসাবে তিনি জানাতেন যখন ‘আজ আমি কিশোরদার সাথে গান করেছি’। উল্লেখ্য কিশোর কুমারের সাথে মহম্মদ রফি ১৯৫৬ সালে ‘ভাগম ভাগ’ সিনেমায় প্রথমবার একসাথে ডুয়েট গান গেয়েছিলেন।
এছাড়া সাম্প্রতিক ওই সাক্ষাৎকারে রফি-পুত্র আরও জানিয়ে বলেন একবার মহম্মদ রফি লন্ডনে ছিলেন সেসময় একটি গানের অনুষ্ঠানের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন কিশোর কুমার। জানতে পেরেই কিশোর কুমারকে রাতে একসঙ্গে খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেছিলেন রফি। ব্যস্ততার মধ্যেও রফির বাড়ি গিয়ে ছিলেন কিশোর। রফি-কিশোরের বন্ধুত্ব সম্পর্কে একবার কিশোর-পুত্র তথা অমিত কুমার (Amit Kumar)। জানিয়েছিলেন, রফির মৃত্যুর খবর পেয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন তাঁর বাবা।