সমাজের আতস কাঁচে ‘পারফেক্ট’ শব্দটা যেন সোনার পাথরবাটি। তার উপর এই প্রবণতা আরও জাঁকিয়ে বসেছে ডিজিটালাইজেশনের যুগে৷ যত মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়েছে ইন্টারনেট, ততই দাপিয়ে বেড়েছে ট্রোলিং। এমন নায়িকা বোধহয় নেই যারা ট্রোলিং-এর শিকার হননি। প্রতিনিয়ত কারোর চেহারা নিয়ে, কারোর উচ্চতা নিয়ে, অথবা কারোর গায়ের রঙ নিয়ে চলছে চুল চেড়া বিশ্লেষণ। আর সেই স্বঘোষিত বিচারকদের মাপকাঠিতে পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় বডি শেমিং (Body Shaming)।
‘মোটা’ এবং ‘নায়িকা’ এই দুটি শব্দ যেন পরস্পর বিরোধী। ‘চিকনি চামেলি’ গোছের ফিগার না হলে নায়িকা হওয়া যায় না এই ধ্যানধারণা রয়েই গিয়েছে। গত কয়েকমাস আগে অবধিও বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ ঐন্দ্রিলা সেন (Oindrila Sen) নিজের বাড়তি ওজন এবং মেদের কারণে যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছিলেন৷
করোনা সংক্রমণের জেরে বাড়ি বসে থাকা এবং দেদার ভুরিভোজ এখন অধিকাংশ মানুষের বাড়তি মেদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাতিক্রম নন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনও। কিছুদিন আগে পর্যন্তও তাঁর শরীরে ছিল বাড়তি মেদের স্পষ্ট ছাপ। তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন তিনি। নেটিজেনদের কাছ থেকে জুটেছিল ‘মোটা হাতি’র মতো তকমাও।
কিন্তু সেসবে কান না দিয়ে নিজের চেষ্টা এবং পরিশ্রমের উপরেই ভরসা রেখেছিলেন অভিনেত্রী। মন দিয়েছিলেন শরীর চর্চায়, আর এবার সেই ফল প্রকাশ্যে। নিজের মেদ ঝরিয়ে ট্রোলারদের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দিয়েছেন অঙ্কুশ হাজরার প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা সেন৷ আর তার এই কঠিন লড়াইয়ে যে যাই বলুক না কেন তিনি পাশে পেয়েছিলেন সবচেয়ে কাছের মানুষটাকেও। অঙ্কুশ এদিন ঐন্দ্রিলার ট্রান্সফরমেশনের ছবি শেয়ার করে প্রেমিকার প্রশংসাও করেছেন। তার দুই সময়ের ছবি শেয়ার করে অঙ্কুশ ক্যাপশনে লেখেন, ” ট্রান্সিফরমেশন, তোমার জন্য গর্ব হচ্ছে। আরও দূর যেতে হবে , কিপ রকিং”।
View this post on Instagram