বাংলা ছবি (Tollywood) যারা দেখেন তারা এই অভিনেতাকে দেখেননি তা হতে পারেনা। তবে কোনো কালেই নায়ক হতে পারেননি পার্থ সারথি (Partha Sarathi), তবে তিনি যে একজন সফল এবং সার্থক অভিনেতা সেকথা স্বীকার করে নেবেন যে কেউই। বাংলা কমার্শিয়াল ছবিতে কমেডি মানেই পার্থসারথি, দেব জিৎ সোহম হিরণ থেকে শুরু করে সকলের সঙ্গেই স্ক্রীণ ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। তবে আজ তিনি সফল অভিনেতা হলেও কেরিয়ারের শুরুটায় কিন্তু বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তাকে৷
একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি ছেড়ে থিয়েটারে মন দিয়েছিলেন অভিনেতা। এরপর টানা ১২ বছর থিয়েটার করে গিয়েছেন তিনি কিন্তু তাতে পয়সা কড়ি কিছুই আসছিল না, তাই প্রথমটায় নাইটি চুরিদার কাটিং করে সকাল ৩.৫০ এর ট্রেন ধরে হরিষা হাটে এসে বসতেন অভিনেতা৷ তখনই একটি ধারাবাহিকও শুরু হয়েছিল, তাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র না হলেও তার অভিনয়ে দর্শকদের বেশ মন মজেছিল। তাই নাইটি, চুরিদার বেচতে বসলেও দর্শকরা ঠিক চিনে ফেলেন তাদের পছন্দের অভিনেতাকে।
এরপর ওই কাজও ছেড়ে দেন তিনি। সুখের চাকরি ছেড়ে অভিনয়কেই ধ্যান জ্ঞান করেন তখন পার্থ সারথি। দিনের পর দিন লড়াই করে আজকে তিনি সফল। প্রথম দিকে প্রোডাকশন থেকে গাড়িও দেওয়া হতনা তাকে, তিনি যাতায়াত করতেন ট্রেনে বাসে অটোতেও।
আগরপাড়া থেকে কলকাতা যাতায়াত করেই পৌঁছাতেন ফ্লোরে। রাত হলে আশ্রয় নিতেন কোনোও বন্ধুর বাড়িতে। অভিনেতার মতে, ‘এক সেকেন্ডও যদি কোনোও চরিত্র থাকে, সেই চরিত্র এতটাই ভালো করতে হবে যাতে তা ৯০ বছর টিকে থাকে।’ এই আত্মবিশ্বাসের জোরেই আজ তিনি সফল। সম্প্রতি দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে এসে নিজের জীবনের গল্পই তুলে ধরেছেন অভিনেতা। খোদ রচনা ব্যানার্জিও তাকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন।
বেশ কয়েকটি অন্য ধারার ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রেও দেখা মিলেছে তার ,এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সাড়ে চুয়াত্তর ‘, ‘ঘোষ পাড়া’, ‘চোলাই’। বলিউডেও ইতিমধ্যেই পসার জমিয়েছেন অভিনেতা। খুব শিগগিরই জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে ‘লাইফ বিরিয়ানি’ ছবিতে লিড রোলেই দেখা যাবে অভিনেতা পার্থকে।
বিভিন্ন কমেডি শোতে পার্থ থাকা মানেই হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যাওয়ার জোগাড় হয়। অভিনয়, থিয়েটারের পাশাপাশি দুর্দান্ত গানের গলাও তার। ইউটিউবে তার নিজস্ব গানও প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি।