বাংলার সুপারস্টার দেব। গোটা বাংলা জুড়ে অগনিত ভক্ত তার। দেব থাকা মানে,সেই সিনেমা সুপারহিট হবেই। তবে শুধু অভিনেতা কিংবা বাংলার জনপ্রতিনিধি হিসাবেই নয়, হার্টথ্রব দেবের রয়েছে আরও একটি পরিচয়। প্রযোজনা সংস্থা ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স’-এর কর্ণধার তিনি। দেখতে দেখতে ইতিমধ্যেই এই সংস্থার বয়স হয়েছে চার বছর।
এরই মধ্যে দেবের এই প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে একের পর এক বাংলায় মুক্তি পেয়েছে ‘চ্যাম্প’, ‘ককপিট’, ‘কবীর’-এর মতো একাধিক সিনেমা। তবে সব সিনেমাই যে বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে, তেমনটা নয়। সফলতার পাশাপাশি এসেছে ব্যার্থতা। তবে বেশ খানিকটা ঝুঁকি নিয়েই এই সংস্থার শুরু করেছিলেন দেব।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে অঅভিনেতা এই সংস্থার শুরুর দিনের কথা জানিয়ে বলেছেন নিজের কেরিয়ারে সেসময় তিনি এমন একটা সময়ের মধ্যে যাচ্ছিলেন যখন তিনি নিজের পছন্দ মতো ছবি পাচ্ছিলেন না। তাই সেসময়েই খানিকটা ঝুঁকি নিয়েই ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স’ খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আর এই প্রযোজনা সংস্থা খোলায় তার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত কাজ করার সুযোগ। আর তাই যখন যেমন গল্প মাথায় এসেছে, নিজের প্রযোজনা সংস্থার দৌলতে সে সব নিয়েই মন পসন্দ ছবি বানিয়ে ফেলেছেন দেব। এপ্রসঙ্গেই হিন্দি ছবির পাশাপাশি দক্ষিণী ছবির তুলনাকরে দেব বলেন দেশের একাধিক ইন্ডাস্ট্রিতে এখন মৌলিক ছবির জোয়ার।সেখানে অন্যের এঁটো খাচ্ছি আমরা।’
দেবের কথায়, ‘বছরে যদি চারটি ছবি হত, তার মধ্যে তিনটির ডিভিডি আমাকে ধরিয়ে দেওয়া হত। বলা হত, এই ছবিগুলির রিমেক হবে বাংলায়। দুই অথবা তিন বছর পরে গিয়ে হয়তো ‘চাঁদের পাহাড়’-এর মতো একটি ছবি হত। যেখানে বিশ্ব চলচ্চিত্রের পরিসর এত প্রসারিত, সেখানে আর অন্যের নকল করা ছবি বানানোর মানে হয় না।’ তাই বাংলা ছবির এই ধারায় পরিবর্তন আনতে নিজের প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করার ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি।