সমাজের আতস কাঁচে ‘পারফেক্ট’ শব্দটা যেন সোনার পাথরবাটি। তার উপর এই প্রবণতা আরও জাঁকিয়ে বসেছে ডিজিটালাইজেশনের যুগে৷ যত মানুষের কাছে সহজলভ্য হয়েছে ইন্টারনেট, ততই দাপিয়ে বেড়েছে ট্রোলিং। বলিউডে এমন নায়িকা বোধহয় নেই যারা ট্রোলিং-এর শিকার হননি। প্রতিনিয়ত কারোর চেহারা নিয়ে, কারোর উচ্চতা নিয়ে, অথবা কারোর গায়ের রঙ নিয়ে চলছে চুল চেড়া বিশ্লেষণ। আর সেই স্বঘোষিত বিচারকদের মাপকাঠিতে পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় বডি শেমিং (Body Shaming)।
বাস্তব জীবনে বহুবার বডি শেমিং এর শিকার হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi sinha) এবং হুমা কুরেশি (Huma Qureshi)। দর্শকদের চোখে নায়িকা মানেই ছিপছিপে, লম্বা, ফর্সা। কিন্তু সোনাক্ষী কোনোকালেই নিজেকে ছিপছিপে করে তোলার চেষ্টা করেননি। আর তাই ‘মোটা’ বলে বহুবার হেনস্থাও করা হয়েছে তাকে। হুমা কুরেশিও বাস্তবে এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেক সাক্ষাৎকারে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতেও দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীদ্বয়কে।
কিন্তু এবার আর মুখে নয়, আস্ত একটি সিনেমা আসছে এই ঘৃণ্য বডি শেমিং -এর বিরুদ্ধে। ছবির নাম ‘ডাবল এক্স এল’ (Double X L)। সম্প্রতি, এই ছবির বিজ্ঞাপনী ভিডিও সামনে এসেছে৷ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বার্গার আর কোল্ড ড্রিংক্স গোগ্রাসে খাচ্ছেন দুই অভিনেত্রী। খেতে খেতে তারা বুঝিয়ে দিলেন বডি শেমিং-কে থোড়াই কেয়ার করেন।
ছবিতে হুমার নাম রাজশ্রী ত্রিবেদী। উত্তরপ্রদেশের মিরাটের বাসিন্দা সে।ভিডিয়োতেই নিজের এই পরিচয় জানিয়েছেন হুমা। অন্যদিকে, দিল্লির বাসিন্দা সাইরা খান্না হিসেবে দর্শকদের সামনে আসবেন সোনাক্ষী। এই ভিডিওতে দুজনের কথায় বলিউডকেও একাধিক বার কটাক্ষ করতে শোনা যায় দুই নায়িকাকে। তাদের কথায় উঠে আসে, স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য তাদের কি কি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
সোনাক্ষীকে হুমা জানান, “আর তোমারও নিশ্চয়ই মনে আছে একটা সময়ে তোমার ছবির প্রতিটি ভিডিয়ো এবং সিনেমার প্রোমোর নিচে কমেন্টে লেখা থাকত ‘মোটাক্ষী’?” কথা এগোতে এগোতে দুইজনেই বলেন আমরা কি পরস্পরকে বডি শেম করছি। হুমা জানান ‘বিলকুল’৷ পাশাপাশি ট্রোলারদের একহাত নিয়ে এই ভিডিওর আসল বার্তা পৌঁছে দিয়ে তারা জানান, যাঁরা ট্রোল করে দেখা যাবে তাঁদের মা, বোন, দিদিরাও হয়ত বেশ মোটা। অথচ তাঁদেরও নানান স্বপ্ন রয়েছে।