টলিউডের অভিনেতা হিসাবে বর্তমানে বেশ পরিচিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (aninda chatterjee)। ‘বাপি বাড়ি যা’, ‘চতুস্কোণ’, ‘অমানুষ’, ‘ককপিট’ ইত্যাদির মত একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন অভিনেতা। তবে নায়কের চরিত্রে নয় বরং কখনো খলনায়ক তো কখনো পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় একরেছেন অনিন্দ্য। নিজের অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বাঙালি দর্শকদের হৃদয় জয় করতেও সক্ষম হয়েছেন অনিন্দ্য। তবে আজ তাকে অভিনেতা হিসাবে সকলে চিনলেও অনিন্দ্যর একটা অতীত রয়েছে।
সম্প্রতি সেই অতীত আবারও কিছুটা মাথা চাড়া দিল। আসলে জীবনের একটা সময়ে নেশার ঘরে বুদ হয়ে থাকতেন অভিনেতা। নিত্য সঙ্গী বলতে তখন ছিল শুধুমাত্র নেশার দ্রব্য। ভেবেছিলেন হয়তো এভাবেই শেষ হয়ে যাবে, হয়তো কোনোদিন আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরা হবে না। তবে দীর্ঘ ১৪ বছর কোনোপ্রকার মাদকের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন অভিনেতা। সেই কাহিনীই জানালেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার অভিনেতা কলকাতার এক নেশামুক্ত কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। ভাবছেন নিজের নেশামুক্তির জন্য! না বরং একেবারেই উল্টো কারণে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। যারা নেশার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য সংগ্রাম করছেন। নেশামুক্ত কেন্দ্রে সেই সমস্ত লোকেদের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা জানাতেই উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
এদিন ২০০৮ সালের কথা মনে করে অভিনেতা জানিয়েছেন, সেবছর হাবড়ার এক নেশামুক্ত কেন্দ্রে নিজে থেকেই ভর্তি হন। রিহ্যাবের পরেও আবারো নেশা শুরু করেন। এভাবে রিহ্যাব আর সেখান থেকে বেরিয়ে আবারো নেশা এইভাবেই ২৯ বার কেটেছে। তবে ৩০ বারেও হাল ছাড়েননি তিনি। যার ফলাফল আজ এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে নেশামুক্ত তিনি।
অনিন্দ্যর মতে, নেশামুক্ত একদিনের কাজ নয়। অনেক কষ্টে নিজেকে নেশার জগৎ থেকে আলাদা করেছিলেন তিনি। তবে তিনি যখন পেরেছেন তখন বাকিরাও পারবে। তাই তার কাহিনী শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে যদি একজনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে তার চাইতে ভালো আর কিছু হতে পারে না।