মৃত্যুর চার দশক পেরিয়ে গিয়েছে তাঁর, তবু বাংলা সিনেমার জগতে তাকিয়ে সরিয়ে ‘মহানায়ক’ তকমা কেড়ে নেওয়ার যোগ্যতা, বা সাহস এখনও পর্যন্ত কারোর হয়নি, আর হবে বলেও মনে হয়না। কারণ তিনি উত্তম কুমার (Uttam kumar)। একুশ শতকের বুকে দাঁড়িয়েও আট থেকে আশির হার্টথ্রব তিনি। তিনি যা দিয়ে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে তার গর্বেই আজও বিশ্বের দরবারে কলার তুলছে বাঙালি জাতি।
আপামর বাঙালির কাছে আজও আবেগের নাম মহানায়ক উত্তমকুমার । ওমন দাপট, ওমন ব্যক্তিত্ব আর দ্বিতীয় বার তৈরি হয়নি। আজও তার নাম শুনলেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন বাঙালি। তার জীবনচর্চা, স্টাইল, পোশাক, ব্যক্তিত্ব সবই আজও আগ্রহের কারণ। তাকে যদি আর একবার ফিরে পাওয়া যেত, তবে যেন বর্তে যেত এপ্রজন্ম। কিন্তু ১৯৮০ সালেই ইতি পড়েছিল মহানায়কের জীবন অধ্যায়ে।
তবে আজও তিনি একই ভাবে প্রাসঙ্গিক, তিনি পুরোনো হন না। তিনি ফুরিয়ে যান না। ওমন হ্যান্ডসাম সুপুরুষের জুড়ি মেলা ভার। এদিকে জানলে অবাক হবেন, মহানায়ক কিন্তু শেষ জীবন পর্যন্তও বেশ রসে কষে জমিয়ে খেতেই পছন্দ করতেন। কিন্তু বাঙালির সমার্থক ভুঁড়ি তাকে কোনোও দিন ছুঁতে পারেনি।
এবার মহানায়ক উত্তম কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস করলেন অভিনেত্রী ত্বরিতা চ্যাটার্জি (Twarita Chatterjee)। সকলেরই জানা, এক বছর হতে চলল মহানায়কের বাড়ির নাতবৌ হয়েছেন অভিনেত্রী। আসলে দিন কয়েক আগে, দাদাগিরির একটি এপিসোডে টলি পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে দাদা প্রশ্ন করেছিলেন, এক জামবাটি মাংস খেয়েও কীভাবে এমন ছিপছিপে থাকতেন উত্তম কুমার।
সেই রেশ ধরেই উত্তম কুমারের নাতবৌ জানান, খেতে ভালোবাসতেন উত্তম কুমার। কিন্তু পাশাপাশি শরীর চর্চাতেও কোনোও ফাঁকি দিতেন না তিনি। নিয়মিত ট্রেনারের কথা মতো করতেন ব্যায়াম, শিখতেন সাঁতারও। দাদার মতোই ভাই তরুণ কুমারও ছিলেন খাদ্য রসিক। কিন্তু শরীর চর্চায় উত্তমকে টেক্কা দেওয়ার জো ছিলনা তাঁর। মহানায়কের বাড়ির বউ হওয়ার সুবাদে এসব গল্প বড় কাছ থেকে শোনার সৌভাগ্য হয়েছে ত্বরিতার।