সোশ্যাল মিডিয়া আর ইন্টারনেটের যুগে প্রতিদিনই বাড়ছে নেটিজেনদের সংখ্যা। আর ইন্টারনেটের এই দুনিয়ায় নতুন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে একেঅপরকে নোংরা কটাক্ষ করা থেকে শুরু করে মিম বানানো বা ট্রোলিং (Trolling) করা। বিশেষত সেলেব্রিটিদের নিয়ে ট্রোলিংয়ের শেষ নেই! টলিউডের অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) দীর্ঘদিনের প্রেমিকা মধুরিমা গোস্বামীকে বিয়ে করেছেন। আর বিয়ের ছবি শেয়ার হবার পর থেকেই ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
টলিউডের প্রতিভাবান অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম অনির্বাণ ভট্টাচার্য। দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে যেকোনো চরিত্র অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পর্দায়। জাঁকজমক বা এলাহী আড়ম্বর ছাড়াই বিয়ের করেন বাংলার মেয়েদের ক্রাশ তথা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। কিন্তু বিয়ের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নানা কথা ওঠে। মাধুরিমা কেমন সিঁদুর পড়েছে থেকে শুরু করে নানা প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসে।
কিছু নেটিজেনদের প্রশ্ন ছিল বিয়ে মানে মালাবদল থেকে সিঁদুর দান, কিন্তু সেই রীতি মানা হয়নি কেন? এছাড়াও ট্রোলারদের বিবিধ মিম ও কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে অভিনেতাকে। সম্প্রতি এই সম্পর্কেই এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। তাঁর মতে, অভিনেতা হয়ে এই সমস্ত ট্রোলের বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা লাভ করেছি। এখন এসব শুনে শুনে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তবে এসব যারা করেন তাঁরা নাকি এই ধরণের অশ্লীল কথা বলেই অক্সিজেন পান।
আক্ষেপের সুরেই অনির্বাণ জানান, ‘বর্তমান সমাজ মনে করে একসাথে ফোঁস করে উঠলেই সব বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়টা হল, বাঙালিরা কখনই একসাথে কিছু করে না’। যদিও অনলাইন ট্রোলিং নিয়ে এই প্রথম নয় গতবছরও একবার মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদ করে লাভ নেই। ওটা এখন ট্রোলিং আর মিমের রাজত্বে পরিণত হয়েছে’।
প্রসঙ্গত, গতবছরের ২৬শে নভেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বিখ্যাত মুখাভিনয় শিল্পী নিরঞ্জন গোস্বামীর মেয়ে তথা প্রেমিকা মাধুরিমাকেই বিয়ে করেন অভিনেতা। কোনো ফাইভ ষ্টার হোটেল নয় বরং ‘হাতিবাগান সঙ্ঘারাম’ মারফত পরিচয় হওয়া সল্টলেকের ন্যাশনাল মাইম ইনস্টিটিউটেই সারেন বিবাহ পর্ব। ক্যামেরা আর জনপ্রিয়তার থেকে দূরেই শুরু করেন নিজেদের দাম্পত্য জীবন।