করোনা লকডাউন বহু মানুষের জীবন তছনছ করে রেখে দিয়েছে আগেই। তারপর অনেকেই কাজ হারালেও নতুন করে কাজ ফিরে পেতে পারেননি। সম্প্রতি এক অসহায় মেয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। বয়স মাত্র ১১ কিন্তু এই বয়সেই দুনিয়ার কঠিন সত্যিটা সামনে এসেছে ছোট্ট ঝিলিকের। শারীরিক অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী বাবা, মা ও কাজের খোঁজে বেরিয়েছে। তাই লেখাপড়া খেলা ধুলা করার বয়সে বাবার জন্য সাহায্য চাইতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে ছোট্ট ঝিলিক (Jhilik)।
সম্প্রতি এই ঘটনা অভিনেতা তথা সাংসদ দেবের (Dev) সামনে আসতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তিনি। যেমনটা জানা যাচ্ছে উলুবেড়িয়া থানার হিরাপুর দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা ছোট্ট ঝিলিক ও তার বাবা সুশান্ত মন্ডল ( ৫০ )। অসুস্থ হবার আগে পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন তিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে বাবা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ায় সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়েছে ছোট্ট ঝিলিকের ঘাড়ে।
বাবা ছিলেন একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অসুস্থতায় পরিবারে আর্থিক অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে গিয়েছে। পড়াশোনা করে বড় হবার স্বপ্ন দেখার বয়সে সংসারের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছে ছোট্ট ঝিলিক। যেখানে ঝিলিকের সমবয়সীরা খেলা আর পড়া নিয়ে মেতে আছে সে নিজের বাবাকে সাথেই নিয়েই রাস্তায় ঘুরতেছে সাহায্যের আশায়। কখনো দিনে একবেলা খাবার জোটে কখনো তাও জোটে না।
ঝিলিকের দুঃখজনক এই পরিস্থিতি প্রকাশ্যে আসতেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেব। অভিনেতা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মেয়েটির দিকে। দেব জানিয়েছেন, ‘লেখাপড়া করার বয়সে ছোট্ট মেয়েটিকে কাজ করতে হচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক। খুব খারাপ লাগছে, তবে আমার পক্ষে যতটা সম্ভব হবে আমি করবো। আমি ভগবান নই, ওর বাবাকে সুষ্ঠ করে তুলতে পারব না ঠিকই, তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করব’।
এরপর দেব আরো বলেন, ‘ওকে যাতে এভাবে রাস্তায় রাস্তায় আর না ঘুরে বেড়াতে হয় আর স্কুলে যেতে পারে তাঁর ব্যবস্থা করব। আর বাকিদেরও অনুরোধ করব এগিয়ে এসে ওর পাশে দাঁড়ানোর জন্য’। প্রসঙ্গত, এর আগেও অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন অভিনেতা। করোনার সময়েও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল তাকে।