আজও বলিউডের অন্যতম এভারগ্রীন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। আজ তার ৭৭তম জন্মদিন। শর্মিলা ঠাকুর ১৯৪৪ সালের ৮ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শর্মিলার বাবা গীতিন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন এলগিন মিলসের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির মালিক ও মহাব্যবস্থাপক।
বাংলা হিন্দি মিলিয়ে একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী। অভিনয় জগতে তাঁর হাতেখড়ি হয়েছিল কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী অপুর ট্রিলজির ‘অপুর সংসার’ সিনেমায় অপর্ণা চরিত্র দিয়ে। এরপর টানা তিন বছর ধরে বাংলা ছবিতে অভিনয় করার পর শর্মিলার বলিউডে অভিষেক হয়।
এরপর ১৯৬৪ সালে শাম্মী কাপুরের সাথে তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি ‘কাশ্মীর কি কালি’ মুক্তি পায়। এরপর একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে বলিউডে রাজ করতে শুরু করেন এই বঙ্গ তনয়া। রুপোলি পর্দার মতোই অভিনেত্রীর জীবনের ভালোবাসার গল্প ছিল রূপকথার মতো। তাই পতৌদির নবাব মনসুর আলি খানের (Mansoor Ali Khan Pataudi) সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুরের রূপকথার প্রেমকাহিনী আজও চর্চিত হয়।
তাদের হাত ধরেই প্রথম মেলবন্ধন ঘটে বলিউডের সাথে ক্রিকেটের। সালটা ছিল ১৯৬৫ , সেসময় দিল্লিতে ম্যাচের পর পার্টিতে এক বন্ধুর মারফৎ দেখা হয় তাদের দুজনের। ওই পার্টিতেই শর্মিলা কে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন মনসুর আলি। কিন্তু শুরুতেই হ্যাঁ বলেননি শর্মিলা ঠাকুর।
বিয়ের আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে বিশেষ শর্ত দিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। বলেছিলেন যেকোনো ক্রিকেট ম্যাচে পরপর তিন বার ছয় মেরে হ্যাট্রিক করে দেখাতে হবে তাহলেই তিনি হ্যাঁ বলবেন। পরের ম্যাচেই পরপর তিনটি ছয় মেরে দেখিয়েছিলেন পতৌদি। জানা যায় চার বছর সম্পর্কে থাকার পর ১৯৬৯-তে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শর্মিলা ঠাকুর এবং টাইগার পতৌদি।