শহরাঞ্চলে বা মফস্বলের হোটেল রেস্টুরেন্ট কিংবা খাবারের দোকান গুলোর পাশ দিয়ে গেলেই চোখে পড়ে এমন কিছু ডাস্টবিন যার অর্ধেক টাই ভর্তি থাকে খাবারে। মানুষ অতি উৎসাহ নিয়ে খাবার কেনে আর না খেতে পারলেই নির্দ্বিধায় ছুঁড়ে ফেলে ডাস্টবিনে। কবি সুকান্ত বলে গেছেন, ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’। অর্থাৎ যেই খাবার প্রতিনিয়ত নষ্ট হয় তা পেলে কিছু মানুষ বর্তে যায়। কিন্তু এই খাবার নষ্ট না করে দুঃস্থদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার জন্য যে মানবিকতা দরকার তা খুব গুটিকয়েক মানুষের মধ্যেই থাকে।
সম্প্রতি এমনই মানবিকতার ছবি ফুটে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায়। বলাই বাহুল্য ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মাস। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম খুললেই চোখে পড়ছে নবদম্পতির নিত্য নতুন ছবি। ভাইরাল হওয়ার দৌড়ে কতজন কতকিছু করে, কিন্তু সবাই যদি খানিক মানবিক ভাবে ভাবতে পারত তবে হয়ত পৃথিবীটা অন্য রকম হত।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে রানাঘাট স্টেশনের একটি ভিডিও, যেখানে দেখা গিয়েছে ভাইয়ের বিয়ের বাড়তি খাবার স্টেশনের দুঃস্থ, গরীব, ভুখা মানুষদের মধ্যে ভাগ করে দিচ্ছেন তার দিদি। বিয়ে বাড়ির সাজে স্টেশনে পসার জমিয়ে বসে নিজে হাতে তাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন ওই মহিলা।
এই ভিডিওটি থেকে এই বার্তাই পাওয়া যায়, যে যতটুকু দরকার খাবার ততটুকুই নেওয়া উচিৎ। এই দারিদ্রসীমার নীচে দাঁড়িয়ে থাকা একটা দেশে খাবার নষ্ট করার মতো বিলাসিতা মানায় না। দেখে নিন সেই মন ভালো করা ভিডিও – আর “ভাবুন ভাবুন ভাবা প্র্যাকটিস করুন”।