গত সপ্তাহেই মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা অন্তিম:দ্য ফাইনাল ট্রুথ। এই সিনেমায় সালমানের বিপরীতে দেখা গিয়েছে তারই ভগ্নিপতি আয়ুশ শর্মাকে। সিনেমায় প্রথম বার সালমানের সাথে জুটি বাঁধতে পেরে শুরু থেকেই দারুন উচ্ছসিত ছিলেন আয়ুষ। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালমানের ওপর প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল আয়ুষকে।
হঠাৎ কি এমন হল যার জন্য ভাইজানের ওপর ক্ষুব্ধ হলেন তারই ভগ্নিপতি। আসলে সালমান খান ইন্ডাস্ট্রির একজন বড় তারকা। তাই তার পরিবারের সদস্য হওয়া মানেই সর্বক্ষণ সবকিছু তেই জুড়ে যায় সালমানের নাম। ঠিক তেমনই সলমনের ভগ্নিপতি আয়ুষ শর্মা যাইই করেন, মানুষজন সেই ব্যাপারটির সঙ্গে সলমনের নাম জুড়ে দেন।
এই বিষয়টি নিয়ে ভীষণ বিরক্ত আয়ুষ। এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অন্তিম অভিনেতা বলেছেন ‘নিজের এবং পরিবারের খরচ চালানোর সামর্থ্য আমার রয়েছে। সবকিছুতে সলমনের সাহায্য আমার প্রয়োজন হয় না।’ সেইসাথে তার আফসোস ‘কী বলব বলুন,দুৰ্ভাগ্যবশত আমার জীবনে আমি যাইই করি না কেন তার সবকিছুতেই সলমনের নাম টেনে আনা হয়।’
আয়ুষের কথায় ‘ছোট্ট ছোট্ট ব্যাপারেও টেনে আনা হয় সালমানের প্রসঙ্গ। ধরুন, একটা গাড়ি কিনেছি। আমাকে শুনতে হয়, ওহ গাড়ি!নিশ্চয়ই সলমন কিনে দিয়েছে .বা ধরুন এটা করলি, ওটা পেলি নিশ্চয়ই সলমনের জন্য’। এরপরেই ক্ষুব্ধ আয়ুষ বলেন নিজের ব্যক্তিগত খরচ চালানোর জন্য তাঁর কাছে যথেষ্ট অর্থ রয়েছে । তার কথায় ‘আমি সারাজীবন মোটেই এদিক ওদিক ঘুরে গায়ে হাওয়া লাগাইনি’।
.সেইসাথে এদিন ট্রোলিংয়ের বিষয়ে সালমান খানের ভগ্নিপতি জানিয়েছেন, ‘প্রথম প্রথম ট্রোলড হয়ে ভাবতাম যে কেন আমি এসবের শিকার হচ্ছি? আমি কী করলাম? ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন নিন্দা, সমালোচনা এলে বরং খুশি হই। নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিই এই খুঁতগুলো নিখুঁতভাবে ঢেকে ফেলার জন্য আরও পরিশ্রম করতে হবে। তাই করি। সেভাবেই এগোনোর চেষ্টা করছি। তবে হ্যাঁ, নিন্দুকদের আমি মোটেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ব্লক করি না। ‘হেলদি ক্রিটিসিজম’ এর ভীষণ প্রয়োজন জীবনে। এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে’।