রানাঘাটের ৬ নং প্লাটফর্ম থেকে সোজা মুম্বাই এর গানের স্টুডিওতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রানু মন্ডল (Ranu Mondal) । তার অসাধারণ কন্ঠের জাদুতে বুঁদ হয়েছিল গোটা দেশ। আর তারপরেই রাতারাতি বদলে গিয়েছিল তার জীবন। পথচলতি এক ব্যক্তির পছন্দ হয় রানু মন্ডলের গান। আর সেই গানের ভিডিও করে তিনি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পরেই ঘটে যায় ম্যাজিক, রাতারাতি ভাইরাল হয়ে পড়ে তার গান।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ভিডিও দেখে স্বয়ং হিমেশ রেশমিয়া রানু মন্ডলের সাথে গান বাঁধেন। এরপর হিমেশ সেই প্রতিভাকে পৌঁছে দেন সারা বিশ্বের দরবারে। রানুর সঙ্গে ডুয়েটে তিনি গান ‘তেরি মেরি কাহানি’। আর তার সেই গান আগের বছর দাপিয়ে বেড়িয়েছে সমস্ত পুজো মন্ডপে।
কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাণু মন্ডলের অবস্থা ফের শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। রানাঘাট স্টেশন থেকে শুরু করে আবার তাকে ফিরে যেতে হয়েছিল সেই স্টেশনের ভিক্ষাবৃত্তিতেই। টেনেটুনেই কাটছিল দিন। মুখ ফিরিয়েছিল তার মেয়েরাও। সেই তারকা সত্তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি রাণু মন্ডলের।
অনেকেই মনে করেন তার মানসিক স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই এত বড় সুযোগ পেয়েও তার সসদ্ব্যবহার করতে পারেননি। সম্প্রতি, রাণু মন্ডলের আরও একটি ভিডিও তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে ফের হাসির খোরাক হয়েছেন চর্চিত গায়িকা।
আসলে তথাকথিত খ্যাতির বড়াই কোনোদিনই করতে পারেননি রানু, তাই যেকোনো ব্লগারই তার বাড়িতে গেলে তিনি ফেরান না। ক্যামেরার সামনে বসতে তার না লাগে সাজগোজ, না লাগে কোনোও বাড়তি প্রস্তুতি। সম্প্রতি, এক ইউটিউবার তার বাড়িতে গিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন যা নিমেষে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামান্য এক প্যাকেট চিপসেই খুশি তিনি।
ব্লগার তার হাতে এক প্যাকেট চিপস দিতেই মনের সুখে খেতে লাগলেন রানু, এমনকি সেই ইউটিউবারকেও দু একটি চিপস দেন তিনি। তারপর গল্প কথার মাঝে গান ধরলেন, “এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়”। এরপর আরও কয়েকটি গান গাইতে শোনা যায় রানাঘাটের রানুর মুখে।