বর্তমান সমাজে বিশেষ করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বৈবাহিক জীবনের জটিলতা যেন একটা ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে । বিয়েই যে সম্পর্কের শেষ পরিণতি নয় আমাদের চারপাশে তার উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। এক্ষেত্রে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁর কথা প্রথমেই মাথায় আসে তিনি হলেন, টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Shrabanti Chatterjee)। বারবার সম্পর্কে বিশ্বাস করে ঠকেছেন তিনি। তবুও ভালোবাসা শব্দটার প্রতি আস্থা হারাননি নায়িকা।
অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ১৯৯৭ সালে সেই থেকে একাধিক সুপার হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। আর অভিনয় থেকে শুরু করে কিলার লুকস দিয়ে টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন শ্রাবন্তী। তবে এখন কেবল অভিনেত্রী হিসেবে নয়, রাজনীতির আঙিনাতেও তিনি নিজস্ব নাম তৈরি করতে সমর্থ হয়েছেন।
২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে আগেই মহা সমারোহে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন নায়িকা। বিজেপির রাজ্যসভাপতি ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে পদ্মফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি বিজেপির হয়ে নির্বাচন ও লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ তিনি জিততে পারেননি।
এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই গত ১১ ই নভেম্বর বেশ বড়সড় বিবৃতি দিয়ে বিজেপি ছাড়েন শ্রাবন্তী। ‘বাংলার স্বার্থকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপির উদ্যোগ এবং আন্তরিকতার অভাব…’, এই অভিযোগেই বিজেপি ত্যাগ করেন নায়িকা। জানান, আগামীতে অভিনয়ই হবে তার কাজ।
এদিকে বিজেপি ছাড়ার সপ্তাহ দুই পরেই তৃণমূলের সভামঞ্চে দেখা মিলল শ্রাবন্তীর। আর এর জেরেই জল্পনা শুরু তবে কি ফুল বদলাতে চলেছেন নায়িকা? সোমবার বাসন্তী ব্লকের মসজিদবাটিতে তৃণমূলের দলীয় অনুষ্ঠানে সভামঞ্চে উঠে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শওকত মোল্লা, পরেশরাম দাস, সুব্রত মণ্ডলদের সামনেই শ্রাবন্তী জানান, ‘আমি বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। বাংলারই মেয়ে আমি। মমতাদি’কে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমায় আপন করে নিন। আমি আপনাদের জন্যই কাজ করতে চাই’। আনুষ্ঠানিক ভাবে দলে যোগ না দিলেও অভিনেত্রীর কথায় স্পষ্ট রাজনীতির যে স্বাদ তিনি পেয়েছেন, তা চেখে দেখতে এবার তার ঠিকানা তৃণমূলই।