গত মাসের শুরুতেই অর্থাৎ ২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়া গামী কার্ডেলিয়া শিপে হাই প্রোফাইল রেভ পার্টি চলছিল। সেই ক্রুজশিপ পার্টিতেই বেআইনিভাবে মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ছেলে আরিয়ান খানের (Aaryan Khan) বিরুদ্ধে। রাতারাতি এনসিবির হাতে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়ে যায় গোটা দেশ। তবে শুধু আরিয়ান নয় মাদক মামলায় (Drug Case) নাম জড়ায় আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট, মুনমুন ধমোচারও।
আরিয়ানের গ্রেফতারির পর নিম্ন আদালতে বারবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে এনসিবির পক্ষ থেকে আইনজীবীর দাবি ছিল, জামিন পেলে প্রভাব খাটিয়ে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন আরিয়ান। বারবার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানান আরিয়ান খানের আইনজীবীরা।
এরপর গত ২৮ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করা হলেও আইনের গেরোয় ৩০ তারিখ বাড়ি ফেরেন মন্নতের রাজপুত্র। আজ বম্বে হাইকোর্টে তাঁর জামিনের বিস্তারিত রায়ে উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। এদিনের বিস্তারিত রায়ে বম্বে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, মাদক মামলায় আরিয়ান খানই যে কোনও ষড়যন্ত্র করেছেন, এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সেইসাথে বলা হয়েছে এখনও পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে একই বেআইনি কোনও কাজ করার লক্ষ্য ছিল আরিয়ান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার। এখানেই শেষ নয় ১৪ পাতার ওই রায়ে বিচারপতি নীতিন সামব্রে জানিয়েছেন, মাদক মামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য আরিয়ানদের একই অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল বলে এনসিবির তরফে যে দাবি করা হয়েছিল তা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।
হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অভিযুক্তরা ক্রুজে যাচ্ছিলেন – শুধুমাত্র এই কারণ দেখিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।বিচারপতি জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে আবেদনকারীদের কাছে কোনও মাদক ছিল কিনা, তা আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। সেখানে আরিয়ানের থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। অন্যদিকে আরবাজ এবং মুনমুনের থেকে যে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তা মাদক আইন অনুযায়ী ‘কম’। সেই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ধারা প্রয়োগ করতে ‘ইতিবাচক প্রমাণ’ লাগবে বলে জানানো হয়েছে।