বলিউডের (Bollywood) অভিনেতা হোক বা অভিনেত্রী তাদের জনপ্রিয়তা থাকে ব্যাপক। আর জনপ্রিয়তার কারণে রাস্তায় বেরোলে রীতিমত হামলে পরে ভক্ত আমজনতা। তাই নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে তারকারা প্রত্যেকেই ব্যক্তি বডিগার্ড (Bodyguard) বা দেহরক্ষী সাথে রাখেন সর্বদাই। এই সমস্ত দেহরক্ষীরাও সেলেব্রিটির থেকে কোনো অংশে কম যান না। সেলেব্রিটির সাথে সর্বদা থাকতে তো পারেনই সাথে মেলে কোটি কোটি টাকার মাইনে।
সম্প্রতি বলিউডের অভিনেত্রীদের মধ্যে ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif) সর্বোচ্চ চর্চিত। শীঘ্রই ভিকি কৌশলের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেত্রী। তবে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব ক্যাটরিনার বডিগার্ড দীপক সিং (Deepak Singh) এর সাথে। নামের সাথে তাল মিলিয়ে লম্বা চওড়া পেশীবহুল চেহারা রয়েছে তাঁর। দেখতেও দারুন সুপুরুষ দীপক সিং, চাইলে টেক্কা দিতেই পারেন বলিউডের অভিনেতাদের।
নিজের ছ ফুটের সুবিশাল চেহারা দিয়ে সর্বদাই ক্যাটরিনাকে রক্ষা করেন তিনি। শুটিংয়ের ফ্লোর থেকে পাবলিক প্লেস ক্যাটরিনার ছায়াসঙ্গী হিসাবেই থাকেন দীপক। এই কাজের জন্য তাকে মাসে কোটি কোটি টাকা মাইনে দেন ক্যাটরিনা। যে কারণে বডিগার্ড হলেও আদতে কোটিপতি তিনি। অবশ্য প্রথম দেখায় তাকে বডিগার্ড না ভেবে কোনো এক সেলেব্রিটিও ভেবে বসতে পারেন যে কেউ।
দামি কোট, চোখে সানগ্লাস একেবারে এলাহীভাবে সেজেই ক্যাট সুন্দরীকে রক্ষার দায়িত্ব সামলান দীপক। তাঁর এমন সাজের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সংবাদ মাধ্যমে জানান, ‘বাকিদের থেকে আমাকে আলাদাই দেখানো উচিত। ভিভিআইপিদের সাথে সবসময় থাকতে হলে নিজেকেও সেরকমই থাকতে হবে। তাই নিজেকে সর্বদা ফিট অ্যান্ড ফাইন রাখতেই পছন্দ করেন তিনি’।
প্রসঙ্গত বর্তমানে ক্যাটরিনার দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করলেও এর আগে একাধিক তারকাদের সাথে কাজ করেছেন তিনি। ক্যাটরিনার প্রাক্তন সালমান খান থেকে ড্রিম গার্ল মাধুরী দীক্ষিতের সাথেও কাজ করেছেন দীপক। এমনকি প্যারিস হিলটনের মত অভিনেত্রীর সুরক্ষার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
তবে দেহরক্ষী হিসেবে বিখ্যাত হলেও ছোট থেকে এই পেশায় আসার কথা চিন্তাও করেননি তিনি। দীপকের বাবা ছিলেন ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের অফিসার। স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হবার, কিন্তু কলেজ লেভেলের বেশি খেলা নিয়ে এগোনো হয়নি। এরপর জামাইবাবু তথা অভিনেতা রণিত রায়ের সূত্রে প্রথম বডিগার্ডের চাকরি। ‘ব্ল্যাক’ ছবির সেটে দারোয়ানের কাজ করেছিলেন দীপক। এরপর থেকে একেরপর এক কাজ এসেছে। আর বর্তমানে ক্যাটরিনার দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন।