সারা দিনের কাজ সামলে বাঙালিদের বিনোদন বলতে সন্ধ্যে হলে চায়ের কাপ নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে পড়া। আর তারপর এক চ্যানেল থেকে অন্য চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রকমারি সিরিয়াল গোগ্রাসে গেলা। প্রতি বছর বছরই একাধিক নতুন নতুন ধারাবাহিক চমক নিয়ে আসে টিভির পর্দায়, আর সেখানকার নায়ক নায়িকারাও মানুষের খুব কাছের হয়ে ওঠে।
আপনি যদি বাংলা ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক হয়ে থাকেন, তবে আজ যাদের নিয়ে কথা বলব তাদের চিনতে খুব বেশি অসুবিধে হবেনা। গত কয়েক বছর ধরেই দাপিয়ে কাজ করছেন এই নায়কেরা। একাধিক হিন্দু নামে নায়কের ভূমিকায় নজর কেড়েছেন টেলিপাড়ার এই সব তারকারা, কিন্তু আপনি হয়ত জানেননা বাস্তবে তারা মুসলিম (Muslim) ধর্মাবলম্বী। আজ বংট্রেন্ডের পর্দায় রইল তাদেরই তালিকা।
ফাহিম মির্জা (Fahim Mirza):
বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ ফাহিম মির্জা৷ তিনি বর্তমানে জি বাংলার মিঠাই সিরিয়ালে ‘রুদ্র ব্যানার্জি’র চরিত্রে নজর কাড়ছেন। এছাড়াও ‘কড়িখেলা’তেও কৌশিক নামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা মিলেছে তার। অভিনয়ের সাথে বেশ কয়েক বছর ধরেই যুক্ত তিনি। এই হ্যান্ডসমের প্রেমে এখন হাবুডুবু খাচ্ছেন অনেকেই।
রিজওয়ান রব্বানি শেখ (Rezwan Rabbani Sheikh) :
টেলিভিশনের আরেক হ্যান্ডসাম রিজওয়ান রব্বানি শেখ বর্তমানে দেবচন্দ্রিমার বিপরীতে ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকে আর্যর ভূমিকায় অভিনয় করছেন। ‘আঁচল’-এ কুশান রায় চরিত্র দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। এর আগে ‘প্রতিদান’, ‘চোখের বালি’- ধারাবাহিকে বিহারির চরিত্র অভিনয় করেন রিজওয়ান। অনেকেই জানতেন না বাস্তবে এই নায়ক ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
ফারহান ইমরোজ (Farhan Imroze) :
ছোট পর্দা থেকে ইতিমধ্যেই টলিউডের বড়পর্দাতেও পসার জমিয়েছেন ফারহান। কেয়ার করিনা, ভাগ্যলক্ষ্মী কানামাছি, কিরণমালা প্রভৃতি ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাকে। সম্প্রতি, সোয়েটার সিনেমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নজর কেড়েছেন তিনি।
সৈয়দ আরোফিন (Syed Arefin):
টেলি পাড়াতে অনেকেই তাঁকে বলেন ‘হৃতিক’। আর প্রত্যেকবার সেটা শুনে একটু লজ্জা পান, আবার মনে মনে একটু খুশিও হন। তবে এই প্রথম নয়, এমনটা শুনে আসছেন তিনি সেই স্কুল জীবন থেকে। খেলাঘর ধারাবাহিকে শান্টুর চরিত্রে অভিনয় করছেন সৈয়দ আরেফিন, তার বর্তমান বয়স ৩২ বছর। তার করা অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইরাবতীর চুপকথা।
গাজী আব্দুন নূর (Gazi Abdun Noor):
ওপার বাংলার বাসিন্দা গাজী আব্দুন নূর ‘করুণাময়ী রাণি রাসমণি’ দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন। বাবু রাজচন্দ্র দাসের ভূমিকায় তাঁর অভিনয়, রানি মা-র সঙ্গে তাঁর রসায়ন, প্রজাদের ওপর ভালোবাসা ও মহানুভবতার কারণে তিনি ঘরের লোক হয়ে উঠেছিলেন বাংলার দর্শকের।