জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে, বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে”! আজও ফেলুদা পড়তে বসলেই আমরা চেতনায় দেখতে পাই সৌমিত্র বাবুকেই।জীবন সংগ্রামে লড়ে চলা সেই অক্লান্ত অপু আজও বল জোগায় বেকার যুবকদের বুকে। হীরক রাজাদের গদি একাই টলিয়ে দিতে পারে উদয়ন পন্ডিতেরা। কিন্তু অবশেষে পথের খোঁজ না পেয়ে ‘তিন ভুবনের পারেই’ চলে গিয়েছেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আর আজ দেখতে দেখতে একটা বছর হয়ে গেল অভিনেতার প্রয়াণের।
অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ সকাল থেকেই বিষন্নতায় ভিজছে সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু শারিরীকভাবে তিনি জগৎ থেকে বিদায় নিলেও যতদিন বাংলা সিনেমা থাকবে ততদিন বেঁচে থাকবেন সৌমিত্র বাবু। শেষ বয়স পর্যন্তও একেকটি মাস্টারপিস রেখে গিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা। ‘অপুর সংসার’ থেকে শেষ বয়সের ‘বেলাশেষে’ তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন একসময়ের তাবড় সুন্দরীরা। কেউ ছিলেন অপুর অপর্ণা, কেউ অমূল্যর মৃণ্ময়ী, কেউ আবার অমলের চারুলতা। পর্দায় এভাবেই বারবার সৌমিত্র-সঙ্গিনী হয়ে উঠেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, মাধবী মুখোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, তনুজা থেকে স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত।
তবে আজ অভিনেতার জন্য মন খারাপ ছোটবেলার প্রিয় বান্ধবীর। সৌমিত্র চ্যাটার্জির সাথে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের রয়েছে আত্মিক যোগ। এই শহরেই ছেলেবেলা কেটেছে স্বনামধন্য অভিনেতার। আর তার স্মৃতি আজও আগলে রয়েছেন এই শহরের অসংখ্য মানুষ। তাঁকে আজও মনে রেখেছেন তাঁর প্রিয় বান্ধবী সন্ধ্যা মজুমদার ।
আজও ছোটবেলার বন্ধু পুলুকে ভুলতে পারেননি তিনি। চোখ মুছতে মুছতে পুরনো স্মৃতি আজও আরো একবার মনে করিয়ে দিল কৃষ্ণনগর কাঠুরিয়া পাড়ার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রিয় বান্ধবী সন্ধ্যা মজুমদারকে। তার বিশ্বাস আজ যদি সৌমিত্র বেঁচে থাকত রোজ খোঁজ খবর নিত, আর গলফগ্রীণের বাড়িতেও যেতে বলত। কিন্তু আজ আর সৌমিত্র বাবু নেই তাই তার খোঁজ নেওয়ার লোকও নেই।
ছাত্র থাকাকালীন প্রায় দশ বছর একসাথে কেটেছে দুজনের৷ পলুর প্রিয় বান্ধবী বুবুর মনে আজও জীবন্ত পলুর সমস্ত স্মৃতি। তিনি জানান মারা যাওয়ার দু’মাস আগেও বুবু কেমন আছে খোঁজ নিয়েছিলেন পলু। তাকে টলিউডের পরিচালকরাও এমনকি চিনতেন। সৌমিত্র(Soumitra Chatterjee) জায়া দীপা তার সাথেও সুমধুর সম্পর্ক ছিল বুবুর অর্থাৎ সন্ধ্যা দেবীর। আজও বন্ধু পলুর জন্য রাতে ঘুমাতে পারেন না বুবু।