কিছুদিন আগে পর্যন্তও বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হিসাবে পরিচিত ছিলেন অভিনেতা অভিষেক বোস (Abhisekh Bose) এবং দিয়া মুখার্জি (Diya Mukherjee)। উল্লেখ্য অভিষেক বর্তমানে ‘গঙ্গারাম’ (Gangaram) সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। অন্যদিকে দিয়া রয়েছেন জি বাংলার জনপ্রিয় মিঠাই সিরিয়ালের শ্রীতমা চরিত্রে। প্রসঙ্গত ‘সীমারেখা’ সিরিয়ালে অভিনয়ের সূত্রেই প্রেম হয়েছিল এই তারকা জুটির।
কিন্তু আজ থেকে মাত্র তিন মাস আগের কথা, তিন বছরের সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন দুজনেই। এসবের মধ্যেই অভিষেকের জীবনে এসেছেন নতুন মানুষ। ইতিমধ্যেই সহ-অভিনেত্রী সুরভি (Suravi) মানে রিনির সঙ্গে সম্পর্কে থাকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও সেরে ফেলেছেন অভিষেক। সুরভির সঙ্গে সম্পর্কে থাকবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও সেরে ফেলেছেন অভিষেক।জীবনে সুরভীর মতো মানুষকে পাশে পাওয়ার পর দিয়ার সাথে ভাঙা সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিষেক।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেছেন, ‘আমি বরাবরই চিরস্থায়ী সম্পর্কে বিশ্বাসী। তাই ‘করে দেখি’ গোছের প্রেম আমি করতে পারিনি। কোনও সম্পর্কে জড়ালে পুরোপুরি তাঁর সঙ্গেই থাকি। তবে এ রকম অনেক বিষয় আছে, যেগুলো আমি আগে থেকে জানলে সম্পর্কটা তৈরিই হত না’। দিয়ার সাথে সম্পর্ক ভাঙার কারণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও অভিষেকের কথা থেকে একথা স্পষ্ট তাদের সম্পর্ক ভাঙার জন্য দায়ি দুই পরিবারের মধ্যে থাকা বেশকিছু মতের অমিল।
এপ্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘বিয়ে হয় দুই পরিবারের মধ্যে। সেখানে আমার ও আমার পরিবারের গোটা ভবিষ্যৎ গুরুত্বহীন হয়ে পড়লে, তা খুবই কষ্টকর। যখন জানতে পারি, তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। ভেবেছিলাম ভালবাসা দিয়ে বোধহয় সবটা শুধরে দেওয়া সম্ভব। সেই ভুল এখন ভেঙে গিয়েছে।’সেইসাথে অভিনেতা আরও জানান বিচ্ছেদের পর সমালোচনায়বিদ্ধ হতে হয়েছে তাকে। অভিষেকের কথায়, ‘বিচ্ছেদের পরে আমি রোজ কতটা কষ্ট পেয়েছি, তা তো কেউ জানে না। জানাতে চাইও না।
অনেকের ধারণা, আমি নাকি এই তিন বছরে যা করেছি, সবটাই নাটক।’ সেইসাথে আক্ষেপের সুরে অভিষেক বলেন ‘ ‘সকলেই ভাবে, সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে ছেলেটাই খারাপ। আসলে আমার দোষ বলুন বা গুণ, আমি কখনও সম্পর্ক লুকিয়ে রাখি না। আমার সহানুভূতির দরকার নেই’। তবে এতকিছুর পরেও দিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে অভিষেক বলেছেন ‘সব শেষে এটুকুই বলতে চাই যে দিয়া খুবই ভাল মেয়ে। ওর যাতে ভাল হয়, সেই প্রার্থনাই করব আমি।’