টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে দুই আড়াই দশক আগেও নায়ক হিসেবে নাম উঠত প্রসেনজিৎ এবং চিরঞ্জিতেরই। কিন্তু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit chatterjee) ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা শক্ত হাতে ধরে রাখলেও, পায়ের তলার মাটি সরেছিল চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjeet Chakraborty)। প্রায় দীর্ঘ কয়েক বছর পর্দায় দেখা মেলেনি অভিনেতার। অবশেষে এই পুজোতেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘ষড়রিপু ২’।
ডিটেকটিভ চন্দ্রকান্ত ফের পর্দায় ফিরেছেন নয়া রসহ্য সমাধান করতে। এই ছবিতে গোয়ান্দা চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী৷ দীর্ঘ ২০ বছর পর এবার পুজোয় চিরঞ্জিতের ছবি মুক্তি পেতেই দারুণ খুশি বাংলা সিনেমার পুরোনো দর্শকেরা। তাই এত বছর পরেও অভিনেতার ছবি বাজার ধরে রাখতে সক্ষমই হয়েছে।
এছাড়াও খুব শিগগিরই পরিচালক বিক্রম আদিত্য অর্জুনের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লালবাজারে দুঁদে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে চিরঞ্জিৎ-কে। পাশাপাশি, খুব শিগগিরই পরিচালক হিসেবেও ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পসার জমাতে চলেছেন তিনি। অভিনেতা জানান, ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে ২’-এর চিত্রনাট্য লেখার কাজ চলছে।কথা ছিল, ওই ছবির পরিচালনায় হাত রাখব। তার আগেই ভাল চরিত্রে অভিনয়ের ডাক পাওয়ায় রাজি হয়ে গিয়েছি। এখন তো আর আগের মতো ছবির কাজ করি না।’ শোনা যাচ্ছে এই ছবিতেও নায়ক হিসেবে নিজেকেই ভেবেছেন তিনি।
তবে টলিউডের বর্তমান হালচালের উপর বেশ ক্ষোভ রয়েছে অভিনেতার। তার মতে, ইন্ডাস্ট্রি ধুঁকছে দর্শকের অভাবে, একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। আমার সময়ে ৭৫০টি প্রেক্ষাগৃহ ছিল। এখন বাংলা ছবির প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা মাত্র ৪০! তার সাফ কথা বানিজ্য না হলে পেট ভরবেনা তারকাদের।
যাদের দেখে হলে লোক উপচে পড়বে তারাই তারকা। এখনকার প্রজন্ম খেটে ছবি বানালেও তাদের দেখতে হল দর্শকে উপচে পড়েনা, একমাত্র দেব ব্যতিক্রম। এই প্রসঙ্গেই চিরঞ্জিৎ অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ঋত্বিক চক্রবর্তী দুর্দান্ত অভিনেতা। তাঁকে কেউ তারকা বানাল না! আফশোস, রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে ঋত্বিককে কেউ চিনতেই পারে না!”