বাংলার সিরিয়ালের মধ্যে মিঠাই সিরিয়ালের (Mithai Serial) জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনোকিছুই বলা চলে না। বিগত কয়েক মাস বিনোদনে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছে মিঠাই। তবে সম্প্রতি মোদক বাড়িতে অলক্ষি বিদায়ের দিনেই হাজির হয়েছে ট্যাসবুড়ি। সোমদাকে বিয়ে করে মিঠাইয়ের বড় যা হিসাবে বাড়িতে প্রবেশ করেছে তোর্সা। যদিও বিয়েটা আসলে নামেই করেছে আসল উদেশ্য অন্য।
বাড়ির সকলেই তোর্সা আর সোমের বিয়েতে চমকে গিয়েছে, কিন্তু দাদুর কথায় তোর্সাকে বরণ করে ঘরে তুলেছে খোদ মিঠাই। নিয়মমত বিয়ের পরেই আসে কালরাত্রি (Kaal Ratri) আর কাল রাত্রিতে তোর্সা আর মিঠাই নাকি একঘরে থাকবে। এই শুনেই সিদ্ধার্থ চিন্তায় পরে গিয়েছে। সিদ্ধার্থ কিছুতেই মিঠাইকে তোর্সার সাথে থাকতে দিতে রাজি হয়। কারণ সিদ্ধার্থের ধারণা ঘরে কুরুক্ষেত্র বেঁধে যাবে দুজন একসাথে থাকলে। এমনকি মার্ডার হয়ে পুলিশ কেস হতে পারে।
তবে সেসব কথায় কান না দিয়ে মিঠাই সোজা জানিয়েদিয়েছে, অনেক কিছুই তো বলা হল। মিঠাই নাকি মার্ডার পর্যন্ত করতে পারে। তবে আজ মিঠাই টেস দিদিমণির সাথেই ঘুমাবে আর একটা কান্ড তো করেই ছাড়বে। এরপর দুজনে শুতে যাবার আগে তোর্সা বকবক করা শুরু করেছে। তোর্সা বলতে থাকে, ‘মিঠাই তোমাকে সিদ্ধার্থ আসলে বৌ হিসাবে মানেই না। বাড়ির চাপে পরে বৌ হিসাবে মেনে নিয়েছে। আরশোলাও ভাবে সে পাখি কিন্তু সত্যিটা সবাই জানে’।
View this post on Instagram
আরশোলার কথা শুনতেই মিঠাইয়ের মাথায় এল দুস্টুমি বুদ্ধি নকল আরশোলা তোর্সার কোলে ছেড়ে দিয়ে, দিদিমণি আরশোলা বলতেই শুরু তুমুল চিৎকার। চেঁচামেচি শুনেই রাজীব মার্ডার পুলিশ করে ছুটতে লেগেছে। যদিও আসল ব্যাপারটা ধরা পরে কিছুক্ষনের মধ্যেই। রুদ্র বুঝতে পারে মিঠাই নকল আরশোলা দেখিয়ে ভয় পেয়েছে তোর্সাকে। সবটা বুঝতে পেরে সবাই হেসে গেলে।
এদিকে মিঠাইও তোর্সাকে বলে, মিঠাই ছোট বেলায় দুষ্টমি করত এখন তো বড় হয়ে গেছে। আর এখন যদি দুস্টুমি করে তাহলে কিন্তু কাঁদিয়ে ছেড়ে দেবে। এই ঘটনার পর তোর্সা কিছুতেই মিঠাইয়ের সাথে শুতে রাজি নয়, শেষে কালরাত্রিতেই চলে যায় সোমের ঘরে। এদিকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে উচ্ছেবাবু আর বাড়ির বাকিরা।