বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতাদের একজন অক্ষয় কুমার (Akshay kumar)। তার হাতে ছবির কমতি নেই। কয়েক দশক ধরে বলিউড কাঁপাচ্ছেন তিনি। এমনকী এই নতুনদের ভিড়েও আজও অক্ষয় মানেই হল হাউজফুল। ৫৩ বছরের এই অভিনেতা গত কয়েক দশক ধরেই শিরোনাম ধরে রেখেছেন। ‘খান’দের রাজত্বেও নিজের অভিনয়ের দক্ষতায় লাগাম ছাড়া পারিশ্রমিক ছাড়া কাজ করেন না তিনি। ফিটনেস আর নিয়মানুবর্তিতাই তাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে৷ এমনকি ফোর্বসের সমীক্ষা অনুযায়ী বিশ্বের ১০০ জন সর্বাধিক ধনী তারকার তালিকায় উঠে এসেছে বলি খিলাড়ী অক্ষয় কুমারের নাম।
তবে ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’ ধন সম্পত্তির নিরিখে নাকি তার থেকেও এক কাঠি উপরে অক্ষয় পত্নী টুইঙ্কেল খান্না (Twinkle khanna)। ডিম্পল কাপাডিয়া এবং রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কেল বলিউডে নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। ‘বারসাত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক হয় টুইঙ্কলের। ‘বাদশা’, ‘মেলা’র মতো কিছু ছবিতে কাজ করার পরও টুইঙ্কলের ছবির গ্রাফ উপরে উঠতে পারেনি। তার ছবি ফ্লপ হলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ভারতের প্রথম সুপারস্টার রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কেল খান্না জানতেন যে তার বাবার কাছ থেকে তিনি প্রচুর সম্পদ পাবেন। সেই কারণেই অভিনয় জগতকে বিদায় জানাতে বেশি সময় লাগেনি। বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে সংসার জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী। অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করার পর অক্ষয়ের কেরিয়ার গ্রাফে এক প্রচণ্ড উল্লম্ফন ঘটেছিল। বলিউডের খিলাড়ী অক্ষয় কুমার দীর্ঘদিন ধরে একটানা চলচ্চিত্র করছেন, যখন তার সঙ্গে অনেক অভিনেতা ঘরে বসেছেন। অক্ষয়ের কেরিয়ারের সাফল্যের পেছনে টুইঙ্কেলের অসাধারণ হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। টুইঙ্কল এবং অক্ষয় কুমারও প্রচুর সম্পত্তির মালিক।
রাজেশের সফল চলচ্চিত্রগুলিও তাকে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করেছিল। খবরে বলা হয়, তিনি প্রায় এক হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক ছিলেন। রাজেশ মৃত্যুর আগে একটি উইল করেছিলেন। রাজেশ, যিনি তার কন্যাদের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন, তার সম্পত্তি দুটি সমান ভাগে ভাগ করেছিলেন। একটি অংশ টুইঙ্কল খান্নাকে এবং অন্যটি রিঙ্ক খান্নাকে দেওয়া হয়েছিল। এই সম্পত্তির মধ্যে রাজেশের বিখ্যাত বাংলো আশীর্বাদও অন্তর্ভুক্ত ছিল।তবে বিরোধের জেরে দুই মেয়েই আশীর্বাদকে বিক্রি করে দেন।