জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল রানি রাসমণি। বেশ কিছুদিন হল সিরিয়ালে মৃত্যু হয়েছে রানি রাসমণির। আর রানিমার মৃত্যুর সাথে সাথেই এই সিরিয়ালে পাট চুকেছে অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy)। তবে সিরিয়ালের রানিমার মতোই বাস্তব জীবনেও প্রতিবাদী অভিনেত্রী। অন্যায় দেখলেই রুখে দাঁড়ানো স্বভাব তার।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের (Sreelekha Mitra) সারমেয় প্রীতির জেরে হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। উল্লেখ্য গত শুক্রবার সকালের দিকে দুটি লাইভ করেছিলেন শ্রীলেখা। প্রথম লাইভে দেখা যায়, আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা এসে পথ-কুকুরদের প্রতিপালন নিয়ে তীব্রভাবে কটাক্ষ করছেন শ্রীলেখাকে। তাঁর সঙ্গে বচসা চালাচ্ছেন। শ্রীলেখাও বিরোধিতা করছেন।
পরের লাইভে দেখা যায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। হাপুস নয়নে অভিনেত্রী বলতে শুরু করেন ‘অনেক কষ্ট করে অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছি। আমার রক্ত জল করা পয়সায় কেনা। কিন্তু যা হচ্ছে আমি এখানে থাকতে পারছি না। ওরা আমার হাত ধরেছে, আমাকে পাগল বলেছে, বলেছে আমার বাড়ির বাইরে নোংরা-আবর্জনা ফেলে দেবে, কুকুরকে বিষ খাইয়ে মারবে… এত নেতিবাচকতার মধ্যে আমি হেরে গিয়েছি। আমি এই বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও থাকব। যাঁরা কুকুর ভালবাসেন না, আমার থেকে এই অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নিন। আমি আর এখানে থাকব না।’
শ্রীলেখার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় কার্যত মর্মাহত তার অভিযাত্রিক সিনেমার অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। শ্রীলেখার প্রতি যে অন্যায় হচ্ছে সে বিষয়ে সরব হয়েছেন দিতিপ্রিয়া। এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তায় অভিনেত্রী বলেছেন ‘সম্পূর্ণ একটা অন্য কারণে আমি এই ভিডিয়োটা তৈরি করেছি। আমি কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম জিনিসপত্র দেখতে পাচ্ছি। কাকে নিয়ে? শ্রীলেখাদিকে নিয়ে।’
এরপরেই কুকুরদের বিষ খাওয়ানোর প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি শ্রীলেখার অ্যাপার্টমেন্টের লোকেরা যেভাবে তাঁকে হেনস্থা করছেন তার বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এছাড়া সকল কেয়ার গিভার্সদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দিতিপ্রিয়া বলেছেন ‘ব্যাপারটা খুবই সিরিয়াস হয়ে গিয়েছে। আমরা যারা ডগ লাভার (Dog Lover) , এবার আমাদের বলা উচিত। তাদের জন্য কথা বলা উচিত, যারা কথা বলতে পারে না। শ্রীলেখাদি সেই কুকুরগুলোর পাশে আছেন’।
এরপর অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘কিন্তু শ্রীলেখাদির পাশে কারা আছেন? তাঁর পাশে তো আমাদের থাকতে হবে। আমরা যাঁরা কুকুর ভালবাসি, আমাদেরই থাকতে হবে। যে ভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা হতে হচ্ছে শ্রীলেখাদিকে, তাতে মনে হয়েছে, এই ধরনের বিষয় বন্ধ হওয়া উচিত। যাঁরা কেয়ার গিভার্স আছেন, কুকুর ভালবাসেন, তাঁরা প্লিজ শ্রীলেখাদির পাশে এসে দাঁড়ান। সকলে যদি চেষ্টা করি তা হলে নিশ্চয়ই এই বর্বরতা শেষ হবে। ‘