টেলিভিশনের পর্দায় সিআইডি (CID) মানেই নব্বইয়ের দশকের দর্শকদের মনে ভীড় করে আসা একরাশ নস্টালজিয়া। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চললেও শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি একফোঁটাও। যার অন্যতম কারণ রহস্য রোমাঞ্চে মোড়া এই ধারাবাহিকের কন্টেন্ট। এছাড়াও এসিপি প্রদ্যুমন(ACP Pradyuman) স্যারের গোটা টীম।
উল্লেখ্য এটি এমন একটি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল যা প্রত্যেকেই পছন্দ করেন। এছাড়া এটিই একমাত্র প্রথম শো যা সিআইডির সমস্ত কাজ কর্মের ওপর তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় এই শোটি দর্শকদের অনেক প্রশংসা পেয়েছিল। এই শোতে এমন অনেক চরিত্র ছিলেন যারা দর্শকমহলে আজও সমান জনপ্রিয়। শোয়ের এমনই একজন জনপ্রিয় চরিত্র হলেন দয়া ।যিনি তাঁর দরজা ভাঙার বিশেষ স্টাইলের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন।
বিশেষ এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা দয়া নন্দ শেট্টি। প্রসঙ্গত দয়া নন্দ শেট্টি সিআইডিতে ১৯৯৮ সালে যোগ দেওয়ার পর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা কাজ করেছিলেন। দরজা ভাঙার নিজস্ব স্টাইলের জন্য উনি বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। তবে শুধুমাত্র সিআইডি নয় এছাড়াও বেশ কিছু বলিউড সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বেশকিছু টিভি সিরিয়ালেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
দরজা ভাঙার বিষয়ে অভিনেতার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছিলেন প্রথমদিকে তার কোন ধারনাই ছিল না দরজা ভাঙার এই নিজস্ব স্টাইলের জন্য তিনি একদিন তিনি এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবেন। আসলে শোয়ের শুরুর দিকে অনেকবার ফ্রেডিও দরজা ভাঙার কাজ করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে দয়ানন্দ শেট্টিই বিশেষ স্টাইলে দরজা ভাঙার জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
দয়ানন্দ শেট্টিই একবার নিজেই জানিয়েছিলেন একটা সিকোয়েন্স চলাকালীন তাঁকে দরজা ভাঙতে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে ওনার এই দরজা ভাঙা স্টাইল টাই দর্শকদের মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল। উল্লেখ্য করোনাকালে অসংখ্য মানুষের জীবন যাপনের পর খুবই খারাপ প্রভাব পড়েছিল। ব্যাতিক্রম ছিলেন না দয়ানন্দ শেট্টিও। ২০১৯ সালের পর দয়া নন্দ শেট্টিকে কোন প্রজেক্টেই দেখা যায়নি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে আগামী দিনে দয়া নন্দ শেট্টি এমএক্স প্লেয়ারের ক্রাইম থ্রিলার ওয়েব সিরিজে কাজ করবেন।