এই মুহুর্তে ছোট পর্দার অন্যতম পরিচিত মুখ শ্রুতি দাস (Shruti Das) । ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে নোয়া চরিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছেন শ্রুতি। তবে দেশের মাটি তার দ্বিতীয় ধারাবাহিক, প্রথম ধারাবাহিক ত্রিনয়নী। আর এই ধারাবাহিকের পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারকেই (Swarnendu Samadder) মন দিয়ে ফেলেন শ্রুতি।
টেলি-পাড়ায় নায়িকা পরিচালকদের প্রেমের উদাহরণ অজস্র রয়েছে। সেইরকমই এখন ইন্ড্রাস্ট্রির সবচেয়ে চর্চিত জুটি হল নয়ন ওরফে শ্রুতি এবং ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। ত্রিনয়নীর শ্যুটিং সেটেই পরিচালক স্বর্ণেন্দুর প্রেমে পড়েন কাটোয়ার মেয়ে শ্রুতি। ১৪ বছরের বড় পরিচালককে নিজেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শ্রুতি,প্রথমে পরিচালক তাকে বিশেষ পাত্তা দেননি। কিন্ত, কথায় আছে না ‘পিরিতি কাঁঠালের আঠা লাগলে পড়ে ছাড়েনা’। প্রথমে অস্বীকার করলেও শেষমেশ নয়নই হয়ে ওঠে পরিচালকের নয়নের মণি।
নিজের প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো রাখঢাক রাখতে পছন্দ করেননা শ্রুতি। পরিচালকের প্রতি তার প্রেম সুযোগ পেলেই উজার করে দেন অভিনেত্রী। নিজেদের ভালোবাসার ভালোথাকার বিভিন্ন মুহুর্ত মাঝেমধ্যেই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন শ্রুতি। কোথাও খেতে যাওয়া হোক বা বেড়াতে যাওয়া, নিজেদের ট্রাভেল ভ্লগে সমস্ত কিছুই শেয়ার করেন শ্রুতিন্দু জুটি।এখন স্বর্ণেন্দুর আর শ্রুতির পরিবারের মাখোমাখো সম্পর্ক। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন শ্রুতির মা স্বর্ণেন্দুকে মোটে পছন্দ করতেন না। কিন্তু এখন স্বর্ণ আর শ্রুতির মায়ের সম্পর্ক এমনই যে দু’জন দুজনকে কার্যত চোখে হারায়।
মেয়ের থেকে ১৪ বছরের বড় প্রেমিক স্বর্ণেন্দু থেকে মায়ের জামাই হয়ে ওঠার গল্পই এদিন লম্বা পোস্টে সকলকে জানান শ্রুতি। তিনি লিখছেন, সালটা দু’হাজার উনিশ শুরুর দিকটায়, ত্রিনয়নীর সেটে মায়ের প্রথম পা রাখা, ডিরেক্টর প্যাকাপ বলার পর ওঁর সাথে আলাপ করিয়ে বলেছিলাম, “স্বর্ণদা,আমার মা” লাজুক হাসি হেসে ঘাড় নেড়ে “ভালো আছেন কাকিমা” বলে উনি গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার পর মা বলেছিল, “তোর ডিরেক্টর কিন্তু বেশ লম্বা,হ্যান্ডসাম,পারসোনালিটি টাও বেশ,দেখিস প্রেমে পরে যাসনা” কথাটা তুচ্ছ করে “ধুর!” বলে এড়িয়ে গেছিলাম। দু’হাজার উনিশের জুলাই বা অগাস্ট বোধ করি, বাবার মারফত মা জানতে পারে সেই লম্বা ডিরেক্টর সাহেবের প্রেমে তার মেয়ে আদতেই পরে গেছে এবং উঠতে পারছেনা। (বাবাকেই প্রথম জানিয়েছিলাম আমাদের সম্পর্কের কথা কারন মা প্রিয় হলেও মাকেই আমি বেশি ভয় পেতাম) সেপ্টেম্বরে আমার জন্মদিনের পর ওই যে মা ফিরে গেল কাটোয়া,তিন মাস মুখ দেখেনি আমার।”
তবে সেদিন স্বর্ণেন্দুই শ্রুতিকে ভরসা দিয়েছিল একদিন সে কাকিমার প্রিয় এবং ভরসার পাত্র হয়ে উঠবে। শ্রুতি আরও লিখছেন, “লটা দু’হাজার কুড়ি,সেপ্টেম্বর মাস মায়ের ফোনে ওর নাম থাকত “S” নামে ওর ফোনে মায়ের নাম থাকত “Shrutir ma” নামে লুকিয়ে লুকিয়ে চলত একে অপরের হোয়াটস্যাপের স্টেটাস দেখা হঠাত দেখলাম মা স্বর্ণ নামজপ করছে দিনরাত, ও কি খেতে বেশি ভালোবাসে,কি জামা পছন্দ,কোন বেড়াতে যাওয়ার জায়গা প্রিয় এই সেই আসতে আসতে বাড়তে থাকল একে অপরের ইন্ডিরেক্টলি খোঁজ নেওয়া,দেখা সাক্ষাত হওয়া,ওর ডিরেকশনের শো দেখে মেসেজ করা কখন যেন সেই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেওয়া অভিমানী মা আমার হয়ে উঠল পরম প্রিয় শাশুড়ি আর কখন যেন S হয়ে উঠল আমার মায়ের স্বপ্নের মেয়ের বর (এখন যদিও ও জামাই বলে ডাকে) এখনো ওকে ফেলে বিরিয়ানি খেলে অজান্তেই বলে ওঠে জামাই টা আমার বিরিয়ানি ভালোবাসে যে,নিরামিষ না হলে আজ খেত বেশ একসাথে। না খেয়ে থাকলে বাবা কে বলে সেদ্ধ ভাত করে দিই,ছেলে টাকে স্টুডিও তে দিয়ে এসো। আরও কত কি………..” এই মিষ্টি অভিজ্ঞতা জানিয়েই মায়ের সাথে প্রেমিকের ছবি শেয়ার করেছেন শ্রুতি।