বাংলার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। সময়ের সাথে ইন্ডাস্ট্রির তো বটেই সেইসাথে ইন্ডাস্ট্রির বাইরেরও অনেকের কাছেই অভিভাবক হয়ে উঠেছেন তিনি। ৫৯ বছর বয়স যেন তার কাছে কেবলমাত্র একটি সংখ্যা। গত কয়েক দশক ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে বটগাছের মত ছায়া দিয়েছেন অভিনেতা, তার হাত ধরেই হয়েছে বাংলা সিনেমার বিবর্তন। আর আজও তার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি, তার সমকক্ষ বা প্রতিপক্ষ টলিউডে মেলা ভার।
তবে তার স্মার্টনেসকে রীতিমতো টেক্কা দিতে পারে প্রসেনজিৎ পুত্র তৃষাণজিৎ। প্রসেনজিৎ এর ব্যক্তিগত জীবন প্রথম দিকে বেশ টানাপোড়েনেই কেটেছে। প্রথম স্ত্রী জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর,তিনি অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেন। সেই বিয়েও শেষমেশ টেকেনি। অবশেষে অভিনেত্রী অর্পিতা পালকে, বিয়ের পর তার সঙ্গেই সুখে সংসার করছেন অভিনেতা। তাদেরই ছেলে তৃষাণজিৎ ছোট করে বললে মিশুক।
সে আর বাবা মায়ের মতো অভিনয় জগত বেছে না নিয়ে, ইউরোপে পড়াশুনো করছিল। আরচতার জেরেই দীর্ঘ ১০ বছর সে কলকাতার পুজোর স্বাদ থেকে বঞ্চিত। কিন্তু এবছর পুজোর কটা দিন কলকাতাতেই থাকছেন তৃষাণজিৎ। বাবার পাঞ্জাবি পরেই পুজোতে বাবাকে টেক্কা দিলেন প্রসেনজিৎ পুত্র। পুজোর সাজে বাবা ছেলের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাপ ব্যাটাকে পাঞ্জাবিতে এতটাই সুন্দর দেখাচ্ছে, একটি প্রচলিত প্রবাদ মনে চলে আসছে- “এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ”।
প্রসঙ্গত, বাবা বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জি পরিচালিত ছবি ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’ ছবি দিয়েই অভিনয় জগতে তার পা রাখা প্রসেনজিৎ এর। এরপর নায়ক হিসেবে তিনি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন ‘দুটি পাতা’ ছবি দিয়ে। ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি অমর সঙ্গী তার সবথেকে হিট ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম।প্রসেনজিৎ ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় আঁধিয়া এবং ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে মেহুল কুমারের পরিচালনায় মিত মেরে মন কে বলে দুটি হিন্দি ছবিতে নায়ক হিসাবে অভিনয় করেন । কিন্তু কোনো ছবিই সফলতা লাভ করেনি ।
প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত উনিশে এপ্রিল, উত্সব, চোখের বালি, দোসর, খেলা এবং দ্য লাস্ট লিয়র ছবিতে অভিনয় করেছেন । এর মধ্যে দ্য লাস্ট লিয়র ছবিটি ছিল তার অভিনীত একমাত্র ইংরেজি ছবি এবং এই ছবিতে তিনি অমিতাভ বচ্চনের সাথে অভিনয় করেন। তবে বাবা অভিনয় জগতের এত উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেও ছেলের মন লেখাপড়াতেই।
View this post on Instagram