১০ ই অক্টোবর ৬৭ বছরে পা দিলেন বলিউডের এভারগ্রীণ অভিনেত্রী রেখা (Rekha)। এই উপলক্ষে সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরে গিয়েছে শুভেচ্ছা বার্তায়। বলিউডের (Bollywood) সর্বকালের সেরা সুন্দরী অভিনেত্রীর নাম নিতে গেলে তালিকার শুরুতেই যাঁর নাম আসে, তিনি ‘রেখা’। অভিজাত শাড়ি হোক বা পিঠছাপানো চুল, শান্তগভীর চোখ এবং আকর্ষণীয় ঠোঁট আজও ডাক দেয় বলিপ্রেমীদের। ৬৬ বছর বয়সেও তার নাচ, মুখের এক্সপ্রেশন, চোখের ভাষা হার মানাবে একালের যেকোনো বলি অভিনেত্রীকেও।
আজও তার চাহিদায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি সে কথা বলাই বাহুল্য। বয়স তো তার কাছে কেবলই সংখ্যা মাত্র। পর্দায় তাকে এক ঝলক দেখবার জন্য চাতকের মতো চেয়ে থাকে আট থেকে আশি। এদিন বলি ক্যুইন কঙ্গনা রানাউতকে ‘গড মাদার’ নামে অবিহিত করে রেখাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিরাট অনুষ্কার বিয়েতে তোলা একটি রেখার সাথে একটি ছবি শেয়ার করেই এদিন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কঙ্গনা।
তিনি লিখেছেন, “আমার গডমাদার প্রিয় রেখা জিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা … অনুগ্রহ, নমনীয়তা এবং সৌন্দর্যের প্রতীক।” কঙ্গনা যেমন রেখাকে তার ‘গডমাদার’ বলে ডাকেন, তেমনই রেখাও মারাঠি তারকা অ্যাওয়ার্ডে বলেছিলেন যে তার একটি মেয়ে থাকলে সে কঙ্গনার মতো হতো। কঙ্গনা এই অনুষ্ঠানে রেখাকে একটি বিশেষ পুরস্কার উপহার দিয়েছিলেন, এরপর রেখা তার গ্রহণযোগ্যতা বক্তৃতায় কঙ্গনার প্রশংসা করেছিলেন। এমনকি কঙ্গনার ছবি মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি মুক্তির আগে তিনি বাস্তবেও রেখাকে ঝাঁসি কি রানীও বলেছিলেন। অন্যদিকে কঙ্গনা যিনি কালো সিল্কের শাড়ি পরে জানিয়েছিলেন যে এটি তাকে রেখা উপহার দিয়েছিলেন।
এমনকি রেখা একবার কঙ্গনাকে চমকে দিয়েছিলেন ভোর ৩ টেয়। একবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে পারেননি কঙ্গনা, যেখানে তিনি ক্যুইনের জন্য পুরষ্কার জিতেছিলেন। একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিকের সঙ্গে আলাপকালে কঙ্গনা বলেছিলেন, “রাত ৩ টেয় রেখাজি সেই পুরষ্কার এবং ফুল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কঙ্গনার বাড়িতে৷ এটা আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক। “