মহালয়া শেষে ইতিমধ্যেই সূচনা হয়েছে দেবী পক্ষের। পাড়ায় পাড়ায় জোর কদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। আর উৎসব প্রিয় বাঙালির কাছে পুজো মানেই নতুন জামাকাপড় আর খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি যেটা মাস্ট সেটা হল পুজোর আড্ডা। তাই সকলের কাছেই আড্ডা ছাড়া পুজোটা যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর সেই কারণেই সারা বছরের ব্যস্ত শিডিউল থেকে পুজোর দিনগুলোয় কাছের মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকার ইচ্ছা হয় সকলেরই।
ব্যাতিক্রম নন টিভি সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকারাও। প্রিয় সিরিয়ালের নাম শুনতে যে কোনো সিরিয়াল প্রেমীই যে চোখ বুজে জি বাংলার মিঠাই সিরিয়ালের নামটাই নেবেন একথা একপ্রকার নিশ্চিত। এছাড়াও এই চ্যানেলের রানী রাসমণি সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। এই দুই সিরিয়ালেরই বিশেষত্ব হল প্রধান চরিত্রে থাকা নায়ক নায়িকারা ছাড়াও সিরিয়ালের অনান্য চরিত্র গুলিও দর্শকমহলে সমান জনপ্রিয়।
প্রত্যেকের নাম লেগে রয়েছে দর্শকদের মুখে মুখে। তাই কাউকেই আর আলাদা করে চেনানোর প্রয়োজন পড়ে না। এই যেমন মিঠাই সিরিয়ালের শ্রীনিপা,শ্রীরামপুর আর আগের স্যান্ডি আর রাসমণি সিরিয়ালের রামকৃষ্ণ, পদ্ম এবং রাঘব। এগুলো তাঁদের সিরিয়ালের চরিত্রের নাম। আসলে দর্শকরা তাঁদের এই নামেই চেনেন।
সম্প্রতি সিরিয়ালের সাজ পোষাক ছেড়ে পুজো স্পেশাল ফটোশ্যুটে মেতেছিলেন ছোটপর্দার ছয় শিল্পী— সৌরভ সাহা (রানি রাসমণির রামকৃষ্ণ), দিয়া চক্রবর্তী(রানি রাসমণির পদ্ম) , দিয়া মুখোপাধ্যায়(মিঠাই সিরিয়ালের শ্রীতমা), ঐন্দ্রিলা সাহা (মিঠাই সিরিয়ালের শ্রীনিপা), বিশ্বাবসু বিশ্বাস(রানি রাসমণির ভোপাল আর মিঠাই সিরিয়ালের সন্দ্বীপ) এবং অমিতাভ দাস (রানি রাসমণির রাঘব)।
সেই ফটোশ্যুটে সিরিয়ালের চরিত্রদের গতানুগতিক সজ ছেড়ে বিদেশি মডেলদের সাজেই সেজেছিলেন তাঁরা। ছয় শিল্পীরই সাজগোজের দায়িত্বে ছিলেন বুকুন (দেবত্রী)। ধারাবাহিকে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চিরাচরিত সাজ থেকে বের করে নতুন লুক দিতে তাই দেবাশিসের পোশাক পরিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁরই গয়না। ছবিতে ছজনের মধ্যে রাসমণির পদ্মের সাথে জুটি বেঁধেছিলেন ছোটো ঠাকুর রামকৃষ্ণ, আর রাঘবের সাথে পোজ দিয়েছিলেন মিঠাইয়ের নিপা আর সিরিয়ালে দাদা-বোন স্যান্ডি আর শ্রী সেজেছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা।