সম্পর্কে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। এই কথাটার প্রকৃত উদাহরণ হলেন বাংলা থিয়েটার (Theatre) জগতের দুই জনপ্রিয় মুখ সোহিনী সেনগুপ্ত (Sohini Sengupta) এবং সপ্তর্ষি মৌলিক (Saptarshi Moulik)। আজ থেকে ৮ বছর আগে ২০১৩ সালে ‘নাচনী’ নাটক করতে গিয়ে পরিচয় হয় তাঁদের। প্রথম দেখাতেই সোহিনীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন সপ্তর্ষি। মাত্র তিন মাস প্রেম করার পর ২০১৩ সালের ২রা অগস্ট তড়িঘড়ি রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সেরে নিয়েছিলেন তাঁরা।
একের পর এক নিন্দুকদের বাঁকা মন্তব্য এড়িয়ে দেখতে দেখতে একে অপরের সাথে আট আটটা বছর কাটিয়ে ফেলেছেন এই জনপ্রিয় জুটি। আর সেই কারণেই এত বছর পর আজও বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ‘হ্যাপি গো লাকি কাপল’ সপ্তর্ষি-সোহিনী। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের হানিমুনের একটি মজার ঘটনার কথা জানিয়েছেন সপ্তর্ষি।
সপ্তর্ষির মুখেই জানা যায় সেবার পুজোর ছুটিটাকেই হানিমুনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। এমনিতে বিয়ের পর প্রথম পুজো সব দম্পতিদের কাছেই একটু বেশিই স্পেশাল হয়। তাই সপ্তর্ষি জানান বিয়ের পর প্রথম পুজোয় কাটানো হানিমুনের দিনগুলোই হল তাঁর জীবনের অন্যতম মধুরতম স্মৃতি।
পুজোর সময় শহুরে কোলাহল থেকে দূরে একটু একান্তে সময় কাটাতে সেবার পুজোয় স্ত্রী সোহিনীকে নিয়ে হানিমুনে দার্জিলিং গিয়েছিলেন সপ্তর্ষি। আর মজার ব্যাপার হল হানিমুনে তাঁদের সঙ্গী হয়েছিলেন শাশুড়ি স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। তাতে অবশ্য কোনো আপত্তি ছিল নবদম্পতির। সপ্তর্ষির কথায় ‘উনি তো আমার ম্যাম। শাশুড়ি পরে। আমরা বেড়াতে যাব শুনে ম্যাম বললেন, ‘অনেক দিন বেড়াতে যাইনি, আমায় নিয়ে যাবি?’ এত মিষ্টি একটা স্মৃতি।’
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই মা-কে হারিয়েছেন অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত। তাই এ বছরের পুজোটা এমনিতেই ফ্যাকাসে সোহিনী, সোহিনীর বাবা রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষির। তাই এবছর মন খারাপের পুজোয় কলকাতা থেকে দূরে থাকতে এবছর পুজোর দিনগুলোতে সকলকে নিয়ে মুসৌরি পাড়ি দিচ্ছেন অভিনেতা সপ্তর্ষি।