সত্তরের দশকের হিন্দি সিনেমা জগতের অন্যতম সেরা জুটি ছিলেন শাম্মী কাপুর এবং মমতাজ একটা সময়ে বিটাউনে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর গুঞ্জন। কিন্তু সেসময় মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছিলে এই জুটি। আজ আর পৃথিবীতে নেই শম্মি কাপুর। ১০ বছর হল তিনি প্রয়াত হয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁদের না হওয়া প্রেম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মমতাজ।
তিনি জানান সে সময় নিজের থেকে ১৬ বছরের ছোট অভিনেত্রী মমতাজের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন শাম্মি কাপুর। এমনকি তাঁকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। একে অপরকে ভালোবাসা সসত্ত্বেও সে সময় নাকি মমতাজ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শম্মি কাপুরকে। একথা জানিয়ে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সম্প্রতি বলেছেন সেই সময়ে কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি শাম্মি কাপুরের মতো বড় মাপের একজন বলি-তারকা তাঁর প্রেমে পড়তে পারেন এবং বিয়ে করারও প্রস্তাব দিতে পারেন।
সেইসাথে তাঁর সেই প্রস্তাব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার বিষয়টিও কেউ বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন না বলে জানিয়েছেন মমতাজ। সেসময় শাম্মি কাপুরের প্রস্তাবে ‘না’ বলে ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবনীর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মমতাজ। উল্লেখ্য সেসময় সারা দেশ ছিল শম্মি কাপুরের জন্য পাগল। তাই স্ট্যাটাসের পাশাপাশি শম্মি কাপুরের বিপুল অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যের বিস্তর ফারাক থাকায় নিজে থেকেই এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন মমতাজ।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘সেই সময়ে আর্থিক দিক থেকেও অত্যন্ত উচ্চবিত্ত ছিলেন শাম্মি। তাই আমার চারপাশের মানুষদের মাথাতেই ঢুকছিল না কী করে শাম্মি কাপুরের মত একজন মানুষকে বিয়ে না করে থাকতে পারি? তাই অনেকেই পুরো ব্যাপারটাকে মিথ্যা বলেও উড়িয়ে দিয়েছিল। তবে আজ যখন মানুষ দেখে জীবনের শেষ বেলায় আমি দিব্যি আছি, আরামে আছি এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থাও মন্দ নয় তখন হয়ত কারও বুঝতে অসুবিধা হয় না শাম্মির সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যাপারে আমি মিথ্যা বলিনি।’
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতাজ, ‘আমার পরিচিতদের থেকে শুরু করে বলতে গেলে গোটা পৃথিবী তখন একবাক্যে চাইছে শাম্মির সঙ্গে আমার বিয়েটা হোক। কিন্তু জীবনটা যেহেতু আমার তাই আমারই একমাত্র সম্পূর্ণ অধিকার ছিল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। যদিও বলতে কোনও দ্বিধাই নেই আমাকে শুধু ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়নি শাম্মি বরং যেভাবে আগলে রাখত তা এককথায় অসাধারণ। এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি শাম্মির থেকে আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি তা অন্য কারওর থেকে পাইনি!’