শনিবার মাঝ রাতে আরব সাগরের তীরে বিলাসতরণী কর্ডেলিয়া এমপ্রেস শিপে (Cordelia Empress Ship) চলছিল ‘রেভ পার্টি’। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছায় এনসিবির (NCB) তদন্তকারী দল। জানা যায় শনিবারই মুম্বই থেকে বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের সদস্যদের নিয়ে তিনদিনের মিউজিক্যাল সফরে যাওয়ার কথা ছিল ওই বিলাসতরণীর।
সেখানে নিষিদ্ধ ড্রাগস নেওয়ার কারণে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান সহ আটক করা হয় আরও ১০ জনকে। জানা যায় তাঁদের মধ্যেই ছিলেন আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট এবং ফ্যাশন ডিজাইনার মুনমুন ধোমেচাও। সূত্রের খবর, ওই পার্টি থেকেই উদ্ধার হয়েছে কোকেন, হাশিস,সহ এমডিএমএ রবিবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুরের দিকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে খবর।
জানা গেছে জেরার মুখে পড়ে শাহরুখ পুত্র স্বীকারও করে নিয়েছেন যে তিনি মাদক নিয়েছিলেন। রবিবার আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচাকে হাজির করা হয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে।ক্রুজ পার্টিতে রেড হওয়ার পর আজ তাদের সবাইকেই আদালতে তোলা হবে বলে খবর। এছাড়া সোমবার অবধি তাদের এনসিবি (নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো)র কাস্টেডিতে রাখা হয়েছে।
এসবের মধ্যে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হাতে।জানা গেছে রেভ পার্টিতে শাহরুখ পুত্রের মাদক সেবনের পাশাপাশি তাঁর লেন্স রাখার বাক্স থেকে উদ্ধার হয়েছে মাদক। শুধু তাই নয় তল্লাশির এনসিবির দাবি স্যানিটারি প্যাড, ওষুধের বাক্স, জামাকাপড়, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যেও লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মাদক।
তদন্তকারীদের অনুমান খুব সহজে যাতে মাদকদ্রব্য গুলি খুঁজে না পাওয়া যায়, মূলত সেই কারণেই সেগুলিকে এমন সব জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এসব দেখে এখন এনসিবির সন্দেহ এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে। এছাড়া কোথা থেকে এত পরিমাণ মাদক এল, এবং কারা তা নিয়ে এলেন সবকিছু নিয়েই জোরদার তদন্তে নেমেছে এনসিবি।