সত্তরের দশকে বলিউডের একমাত্র চকলেট বয় বলতে যার নাম প্রথমেই আসে তিনি হলেন প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর। জীবনে একাধিক বার প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। আর সেসময় প্রেম ভেঙে যাওয়ায় যখনই আঘাত পেয়েছেন বরাবরই পাশে পেয়েছিলেন বন্ধু নীতু সিংয়ের। পরবর্তীতে সেই নীতু সিংয়েরই প্রেমে পড়ে যান ঋষি। ১৯৭৪ সালে ‘জেহরিলা ইনসান ‘ ছবির সেটে তাঁর প্রথম দেখা হয় নীতু সিং -এর সাথে।
সেই থেকে ঋষি কাপুর তাঁর জীবনের লম্বা সফরে বরাবরই পাশে পেয়েছিলেন নীতু সিং-কে। যার সমাপ্তি ঘটে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ঋষি কাপুরের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে একবার করণ জোহরের শোতে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। নিজের মুখেই তিনি জানিয়েছিলেন ‘আমি বরাবরই ভীষণ কঠিন ছিলাম। কিন্তু নীতু কখনও হাল ছাড়েননি।’
সেবার ঋষি কাপুর জানিয়েছিলেন কেরিয়ারের শুরুতে তাঁরা একে অপরের বন্ধু ছিলেন। তাই যখনই তাঁর ব্রেক আপ হতো তখনই কাঁদার জন্য নীতু সিংয়ের কাঁধেই মাথা রাখতেন তিনি। নীতু সিংয়ের প্রতি তিনি তাঁর ভালোবাসার কথা প্রথমবার অনুভব করেছিলেন ‘বারুদ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়েই। সালটা ছিল ১৯৭৬ । সেসময় নীতুর সাথেই ‘কভি-কভি’ ছবির শ্যুটিং সেরেই ‘বারুদ’ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য প্যারিস চলে গিয়েছিলেন ঋষি।
সেখানে গিয়ে নীতুকে তিনি এতটাই মিস করতে শুরু করেছিলেন যে শেষমেশ থাকতে না পেরে নীতুকে টেলিগ্রাম করেছিলেন তিনি। আর সেই টেলিগ্রামে ফিল্মি কায়দায় লিখেছিলেন, ,’ইয়ে শিখনি বড়ি ইয়াদ আতি হ্যায়’। আর নীতুর মনে আগে থেকেই ঋষির জন্য ভালোবাসা ছিল।তাই ওই টেলিগ্রাম পাওয়া মাত্রই দারুণ খুশি হয়ে যান নীতু। কিন্তু বিয়ে থেকে বরাবরই নিজেকে শতহস্ত দূরে রাখতেন ঋষি কাপুর। তাই তিনি নীতুকে শর্ত দিয়েছিলেন বিয়ে নয়, শুধু ডেটিং করবেন তিনি।
তবে নীতু ঋষিকে এতটাই ভালোবাসতেন যে সেটাও নিশর্তভাবে মেনে নিয়েছিলেন তিনি। এইভাবেই টানা টানা চার বছর সম্পর্ক থাকার পর অবশেষে ১৯৮০ সালে ২২ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তাঁরা। তবে বিয়ের পর থেকে বরাবরের মতো নীতু সিংয়ের সিনেমার পাট চুকে যায়। তা নিয়ে একাধিক বিতর্ক থাকলেও অভিনেত্রী নিজে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় ছবি ছেড়েছেন এবং তিনি সংসারে বেশি সময় দিতে চান।