এই দিনের জন্যেই তো চাতকের মতো অপেক্ষা করেছিল মোদক পরিবারের প্রতিটা সদস্য থেকে শুরু করে দর্শকেরা। আর এবারই এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অবশেষে ‘মিঠাই’ (Mithai) কে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিল দাদুর রাগী নাতি সিদ্ধার্থ।
ধারাবাহিকের প্রথম থেকেই স্বভাবে গম্ভীর মোদক বাড়ির সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের সঙ্গে তার বিয়ের স্বীকৃতি দিতে নারাজ। আর তার জেরে নানান অসম্মান সইতে হয়েছে মিঠাইকে।
এদিকে বাড়ির সকলেই মিঠাই অন্ত প্রাণ। তাদের হাজারো চেষ্টাতেও যখন সিদ্ধার্থকে মানানো সম্ভব হয়নি, তখনই এই সংসারের উপর থেকে মন উঠতে শুরু করে দাদাই-য়ের। সে ঠিক কিরে সংসার ত্যাগ করে সে সন্ন্যাস নেবে।
এই ভেবেই কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ছাড়ে সিদ্ধেশ্বর। দাদাই-কে ফিরিয়ে আনতে আশ্রমে ছুটে যায় সিদ্ধার্থ মিঠাই। আর সেখানেই বাড়ির সকলকে চমকে দিয়ে হাঁটু মুড়ে মিঠাইকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সিদ্ধার্থ।
আসলে দীর্ঘদিন একসাথে থাকতে থাকতে তুফান মেলের প্রতি বেশ দুর্বলতা তৈরি হয়েছে উচ্ছেবাবুর। স্বভাবতই বাড়ির সকলেই খুশি ‘সিডাই’ জুটির এই সিদ্ধান্তে। ঠিক হল ‘রাধাঅষ্টমীর’ দিনেই চার হাত এক হবে তাদের।
শুক্রবারের পর্বেই দেখানো হল সেই বহুপ্রতীক্ষিত মুহুর্ত। টুকটুকে লাল শাড়ি, আর নব বধূর সাজে ফুল দিয়ে সাজানো পালকী চড়ে সিদ্ধার্থকে বিয়ে করতে এলো মিঠাই।
যদিও উচ্ছেবাবুকে মোটেও বরের সাজে দেখা যায়নি। সকলের চেষ্টাতেও শেষমেশ ধুতি পরানো যায়নি সিডকে। তাই সাদা প্যান্ট শার্ট পরেই বিয়ের আসরে উপস্থিত হয় উচ্ছেবাবু।
View this post on Instagram
এরপর দীর্ঘদিনের বান্ধবী তোর্সার সমস্ত ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করেই, মিঠাইয়ের সাথে মালাবদল করে তার সিঁথি সিঁদূরে রাঙিয়ে দিল সে। যদিও বিয়ের শেষ মুহূর্তে ব্যাগড়া দিতে পৌঁছেছিল সমরেশ। সিদ্ধার্থ সাফ জানিয়ে দেয়. ‘আপনি না কোথাউ গিয়ে একটা বিশ্রাম নিন স্যার। কারণ বিয়েটা আমি মেনে নিয়েছি’। আর একেই বলে শেষ পাতে মিষ্টি দই। ‘সিডাই’ এর বিয়েতে অবশেষে বেজায় খুশি দর্শকেরাও।