সারাদিনের ক্লান্তি সেরে মা, ঠাকুমাদের বিনোদন বলতে রকমারি সিরিয়াল। সন্ধ্যের শাঁখ বাজিয়েই এক কাপ চা নিয়ে সকলে মিলেই টিভির সামনে বসে যায় গৃহস্থ বাড়ির সদস্যরা। সিরিয়ালের জগতে বিপুল জনপ্রিয় স্টার জলসার ‘খড়কুটো’ (Khorkuto)। একটি নিখাদ একান্নবর্তী পরিবারের গল্প ফুটে উঠেছে এই ধারাবাহিকে। কখনো হই হই, তো কখনো মন খারাপ। অভাব, টানাপোড়েন, তার মধ্যেই দেদার আনন্দ। খড়কুটো ধারাবাহিকের মুখার্জি পরিবারের মতো পরিবার তো আসলে সকলেই চায়, কিন্তু তবু আজকালকার দিনে যৌথতা শব্দটি যেন সোনার পাথর বাটি।
গুনগুন আর সৌজন্যের (Gungun-Soujanyo) জুটি একেবারে শুরু থেকেই নজর কেড়েছিল দর্শকের। দুজনেই দুজনের বিপরীত তবে ধীরে ধীরে সেই বৈপরীত্য মিটেছে। হাজারো রাগ আর অভিমানের বেড়াজাল ছাড়িয়ে একেঅপরের প্রেমে পড়েছে গুনগুন-সৌজন্য। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে দূরত্ব ঘুঁচেছে সৌগুনের।
তবে সিরিয়ালে বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যায় গুনগুনের আচরণে তাঁর দিকে একের পর এক উঠতে শুরু করে দোষারোপের আঙুল। ঘটনার সূত্রপাত হয় বাড়ির নতুন সদস্য অর্থাৎ মিষ্টির সদ্যজাত কন্যা পুচু সোনাকে কেন্দ্র করে। পুচুসোনাকে নিয়ে গুনগুনের বাড়াবাড়ি দেখতে দেখতে দর্শকদের মতোই বিরক্ত হয়ে উঠেছিল তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও।
একটা সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে সকলেই গুনগুনকে কাঠগড়ায় তুলে দোষারোপ করতে শুরু করে। সেই কঠিন পরিস্থিতিতে গুনগুন তার পাশে পায়নি তার স্বামী সৌজন্যকেও। তাই মেয়ের অপমানের কথা জানতে পেরে গুনগুনকে চিরকালের জন্য মুখার্জী বাড়ি থেকে নিয়ে চলে আসে তার ড্যাডি। এই মুহুর্তে ধারাবাহিকে বাবাকে লুকিয়েই প্রেম চালিয়ে যাচ্ছে সৌজন্য এবং গুনগুন।
ধারাবাহিকে গুনগুনের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha) এবং সৌজন্য কৌশিক রায় (Koushik roy)। কৌশিক সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব বেশি সক্রিয় না হলেও গুনগুন ওরফে তৃণা কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডিক্ট। আর সে কারয়ানেই শ্যুটিং এর ফাঁকে ইন্সটাগ্রাম ফিল্টার ব্যবহার করে ‘বিল্লি’ সেজে হাজির হয়েছিল গুনগুন। শ্যুটিং এর ফাঁকে তার সাথে তালে তাল মিলিয়েছে সৌজন্য এবং পিসিমণিও। সকলেই ম্যাঁও ডেকেছে গুনগুনের পাল্লায় পড়ে। আএ এই ভিডিও শেয়ার করে তৃণা জানায় ‘আজকে আমি দুটো বিড়ালের সঙ্গে শ্যুটিং করছি। ‘