হিন্দি সিনেমা জগতের অন্যতম বর্ষীয়ান সুন্দরী অভিনেত্রী রেখা (Rekha)। তাঁর রূপের ছটায় আজও মুগ্ধ গোটা। জীবনের এতগুলো বসন্ত পেরিয়ে আজও অনায়াসে তাঁর কাছে হার মানতে পারে অষ্টাদশীর যে কোনো তরুণী। বয়স যেন তাঁকে ছুঁয়ে দেখতে পারেনি আজও। অন্যদিকে রয়েছেন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বর্য রায় বচ্চন (Aishwariya Rai Bachchan)। বলিউডের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী ছাড়াও তিনি হলেন বচ্চন পরিবারের একমাত্র পুত্রবধূ।
অন্যদিকে বলিউড শহেনশা অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) সাথে রেখার না হওয়া সম্পর্কের কথাও সকলেরই জানা। এককালের সেরা রোমান্টিক জুটি হিসেবে সিনেমার পর্দাতেও ধরা পড়ত তাঁদের সেই সম্পর্কের রসায়ন।তবে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জয়া বচ্চনের (Jaya Bachchan) বিয়ের পর থেকেই রেখার সঙ্গে বচ্চন পরিবারের কোনও যোগাযোগই নেই। তবে ব্যতিক্রম ঐশ্বর্য রাই বচ্চন।
বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হয়েও রাই সুন্দরীর সাথে রেখার আত্মিক সম্পর্কের কথা সকলেরই জানা। সমস্ত বিতর্ককে সরিয়ে রেখেই ঐশ্বর্যও দিব্যি তাঁকে ‘রেখা মা’ বলে সম্বোধন করেন। তাঁরা দু’জনই হিন্দি সিনেমা জগতের দুটি ভিন্ন প্রজন্মের অমূল্য সম্পদ। ইতিমধ্যেই দেখতে বলিউডে ২০ বছর পূর্ণ করেছেন ঐশ্বর্য। আদরের ঐশ্বর্যের এই সাফল্যে আবেগঘন হয়ে পড়লেন তাঁর রেখা মা। এই বিশেষ দিনে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘তুমি হলে নদীর মতো বয়ে চলা একজন নারী, যে কখনওই থামে না। কোনও ভণিতা ছাড়াই তুমি নিজের প্রচেষ্টায় কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছেছ, শুধুমাত্র নিজের প্রচেষ্টায়। মানুষ হয়তো ভুলে যাবে তুমি কি করেছ বা কি বলেছ, কিন্তু তাঁদের মনে তোমার জায়গা চিরকাল থেকে যাবে। তুমি সাহসের উদাহরণ। তোমায় দেখলে বোঝা যায় যে সাহস থাকলেই উৎকর্ষ লাভ সম্ভব। কোনও কথা বলার আগেই তোমার বিশুদ্ধ এবং গভীর শক্তির পরিচয় মেলে। ‘
সেইসাথে তাঁর আরও সংযোজন ‘তোমার বর্তমান দেখেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায় মা। তুমি যা ভালোবেসেছ তাই করেছ, কিন্তু এমনভাবে করেছেন যে মানুষ চোখ ফেরাতে পারেনি। অন্যের কাছে তোমার প্রমাণ করার কিছু নেই। প্রথমবার তোমায় দেখে আমি চোখ ফেরাতে পারিনি, আমি কতটা মুগ্ধ এবং গর্বিত তা লিখে বোঝাতে পারব না। তোমার জীবনে আরাধ্যার ‘আম্মা’র চরিত্র আমায় সবচেয়ে মুগ্ধ করেছে। ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের দুই দশক পূর্ণ, বাহ! আমার আশীর্বাদ এবং প্রার্থনা তোমার সঙ্গে রইল। ভালোবাসা রইল, বেঁচে থাকো। ইতি তোমার রেখা মা।’