বলিউডের প্রথমসারির হট অভিনেত্রীদের কথা উঠলে প্রথমেই যার কথা মনে পড়ে তিনি হলেন মল্লিকা শেরাওয়াত (Mallika Sherawat)। একসময় সিলভার স্ক্রিনে তার উপস্থিতিতে উষ্ণতার পারদ উঠত তরতরিয়ে। ছোট থেকেই মনের মধ্যে চেপে বসেছিল অভিনেত্রী হওয়ার জেদ। তাই বাড়ির লোকের বিশেষ করে বাবার অমতে হরিয়ানা থেকে সোজা পালিয়ে এসেছিলেন মুম্বাইয়ে।
শুরুতেই অর্থাৎ ২০০৩ সালে ‘খোয়াইশ’ ছবিতে অভিনয় করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন নায়িকা। ছবি জুড়ে তাঁর একাধিক সাহসী দৃশ্য এসেছিল খবরের শিরোনামে। পরবর্তীতে ‘মার্ডার’ (Murder)-এ অভিনয় করার পর থেকেই আলোচনার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন অভিনেত্রী। আর তাঁর অন্যতম ইউ এস পি ছিল নগ্নতায় ভরা একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। মল্লিকার কথায় তার হাত ধরেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের মাধ্যমে সাবালক হয়ে ওঠে বলিউড।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় জীবনের নানান অজানা দিক সম্পর্কে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
তিনি জানিয়েছেন সেসময় বেশ সফল হওয়া সত্ত্বেও, তিনি কখনও বলিউডের কোনও বড় অভিনেতাদের সাথে কাজ করেননি।এ প্রসঙ্গে মল্লিকা জানিয়েছেন ‘একটা সময় অনেক চরিত্র আমার হাতছাড়া হয়েছিল। যার একমাত্র কারণ ছিল কারণ আমি তখনকার একাধিক পুরুষ অভিনেতা, তথা নামী দামী সেলিব্রেটিদের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে দিতে অস্বীকার করেছিলাম। আর সেই কারণেই আজ পর্যন্ত আমি কোন এ-লিস্টার পুরুষ অভিনেতার সাথে অভিনয় করিনি।’
এছাড়াও মল্লিকা জানান তিনি কখনও ‘সরাসরি’ কাস্টিং কাউচের সম্মুখীন হননি। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানান ‘আমি সরাসরি এমন কিছুর মুখে পরিনি। আমার স্টারডম রাতারাতি বেড়ে গিয়েছিল। সেই কারণে আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি,আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা খুব সহজ ছিল। আমি মুম্বাই আসার পরেই, প্রথমে খোয়াইশ এবং মার্ডার পেয়েছি। আর তার জন্য আমাকে বেশি লড়াইও করতে হয়নি।’
কিন্তু মার্ডার ছিল একটি সাহসী সিনেমা। একাধিক সাহসী দৃশ্য ছিল সিনেমায়। তাই অভিনেত্রী জানান সিনেমা মুক্তির পর নানান সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর ইমেজ নিয়ে অনেকেরই ভুল ধারণ তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে তাঁর সহ অভিনেতাদের। তাঁরা মল্লিকাকে সরাসরি জানিয়েছিলেন ‘আপনি যদি অনস্ক্রিন এত সাহসী দৃশ্য করতে পারেন, তাহলে আপনার আমাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবেও সাহসী হওয়া উচিত।’