দর্শকদের মনোরঞ্জন করে সকলের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর কাজ। দেশের অন্যতম সেরা কমেডিয়ান বলতে যার নাম প্রথমেই আসে তিনি হলেন কপিল শর্মা (Kapil Sharma)। তাঁর কথা বলার স্টাইল, সেন্স অফ হিউমার দেখে মুগ্ধ আট থেকে আশি সকলেই। কিন্তু সবটাই ক্যামেরার সামনে। ক্যামেরা অফ হতেই আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই রক্ত মাংসের শরীর তাই।
সকলকে হাসিয়ে সবার মনের কষ্ট দূর করলেই মাঝে মধ্যেই ব্যাক্তিগত জীবনে নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন কপিল। বিতর্কে জড়িয়ে প্রায়শই উঠে আসেন শিরোনামে। পছন্দের ভ্যানিটি ভ্যান বানাতে দিয়ে কার ডিজাইনারের কাছে প্রতারিত হয়েছিলেন কপিল। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি খুইয়ে গতবছর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কপিল। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত বোনিটো ছাবরিয়াকে।
জানা যায় ঘটনাটি ঘটে আজ থেকে ৪ বছর আগের। ২০১৭ সালে তিনি কার ডিজাইনার দিলীপ ছাবড়িয়াকে ভ্যানিটি ভ্যান বানানোর অর্ডার দিয়েছিলেন। আর তার জন্য সেবছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে ৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন কপিল। কিন্তু তারপর পরপর দু’বছর কেটে গেলেও তিনি তাঁর গাড়ির কোনো চিহ্ন দেখতে পাননি। তাই ২০১৯ সালের পর কোনোরকম হেলাল দেখতে না পেয়ে কপিল নিরুপায় হয়ে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাউবুনাল (NCLT)-র দ্বারস্থ হন।
এরপর কপিল আরও নড়েচড়ে বসেন যখন কপিলকে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে ভ্যানিটি ভ্যানের পার্কিং চার্জ বাবদ ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বিল পাঠানো হয়।এরপরই কপিল পুলিশের সাহায্য নিয়ে কেস ফাইল করে দেন। এরপরই গোটা ঘটনার তদন্তে নামে মুম্বই পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন এই মামলায় উঠে আসে অভিযুক্ত দিলীপ ছাবড়িয়ার ছেলে বোনিটো ছাবরিয়ার নাম।
এরপর মু্ম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন তার উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে এও জানা গেছে , গত বছর মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ বেশ কয়েক কোটি টাকার তছরূপের ঘটনায় গ্রেফতার করেছিল বোনিটো ছাবরিয়ার বাবা দিলীপ ছাবরিয়াকে।