মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali) এই নামটা শোনেননি এমন বাঙালি নেই। বাঙালির সকালই শুরু হয় ‘রেডিও মির্চির’ (Radio Mirchi) অনুষ্ঠান দিয়ে। আর সকালে রেডিও মির্চি মানেই সকাল ম্যান মীরের অনুষ্ঠান। রেডিও বাদ দিয়েও মীরের বেজায় জনপ্রিয়তা টেলিভিশনেও। তিনি যেমন একাধারে দারুণ সঞ্চালক, তেমন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান আবার একজন অভিনেতাও তিনি। তবে সবার আগে তার জনপ্রিয়তা একজন ভালো মানুষ হিসেবেও। হাসির আঙ্গিকেও তার বলা একেকটা কথা মনে গভীর ভাবে দাগ কেটে যায়।
গত ৪ বছর ধরে সঞ্চালক অভিনেতার বাবা আক্রান্ত ডিমেনশিয়ায়। আজ ‘ওয়ার্ল্ড অ্যালঝাইমার্স অ্যাওয়ার্সনেস ডে’তে বাবার বলাই কিছু মূল্যবান কথা শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। মীর সেই স্মৃতি বলতে গিয়েই নস্টালজিক হয়ে পড়েন।
এদিন বাবার একটি ছবি শেয়ার করে সঞ্চালক অভিনেতা ক্যাপশনে লেখেন , ‘আব্বার জন্মদিন ৪ঠা এপ্রিল। বছর পাঁচেক আগে আব্বাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, জন্মদিনে কী গিফ্ট চান তিনি। আমার খুব ঘড়ির শখ। নানান ধরণের মডেল। বিদেশি ঘড়ি আমার বিশেষ দুর্বলতা। তো আব্বাকে ভীষণ উৎসাহিত হয়ে বললাম, ‘আব্বা… এই বছর আপনার জন্য আমার তরফ থেকে ঘড়ি’। মুচকি হেসে আব্বা বললেন, ‘ঘড়ি নয় বাপি, আমায় একটু সময় দিস’।
মীর এই রোগে আক্রান্ত সমস্ত মানুষের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হওয়ার বার্তা দেন। নেটিজেনদের কাছে এই ধরণের মানুষের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান মীর, সাথে বলেন, আপনার বাড়ীতেও কি এমন কেউ আছেন যিনি কাজে মন দিতে পারছেন না, সব ভুলে যাচ্ছেন এক এক করে? অবহেলা করবেন না। দেরী করবেন না। তাঁদের দূরে ঠেলে দেবেন না। যাঁদের আজকাল মনে থাকে না, তাঁদের আরও বেশী করে মনে ধরে রাখুন।
এই কথা বলতে গিয়েই গলা বুজে আসে সঞ্চালকের। বাবার বর্তমান অবস্থার কথা ব্যক্ত করে তিনি আরও লেখেন, ‘এই ঘটনাটা আমার যতটা স্পষ্ট মনে আছে, আব্বার স্মৃতিতে সেটা ততটাই ঝাপসা। গত ৪ বছর ধরে dementia র সাথে লড়ছেন আমার আব্বা। কিছুই মনে থাকে না। দিন ক্ষণ সাল সময় ~ কোন কিছুরই জ্ঞান নেই বিশেষ। হ্যাঁ এখনও চিনতে পারেন আমায়। নাম ধরে ডাকেন। আব্বা বললে সাড়া দেন। চিকিৎসা চলছে। আমি আশাবাদী। ডাক্তারদের উপর আমার অগাধ বিশ্বাস। ‘