ইন্টারনেটের যুগে সোশ্যাল মিডিয়া সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। আর সোশ্যাল মিডিয়াতে দিনে দিনে বাড়ছে ট্রোলিং (Trolling)। সেলেব্রিটি থেকে সুপারস্টার কেউই রক্ষা পায় না নেটিজেনদের ট্রোলিংয়ের হাত থেকে। এবার এই ট্রোলিংয়ের নিশানায় বলিউডের অভিনেত্রী আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। বিখ্যাত প্রযোজক মহেশ ভাট কন্যা আলিয়াকে তার নতুন একটি বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যাপকভাবে ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে।
সম্প্রতি বিখ্যাত পোশাক কোম্পানি মান্যবরের হয়ে একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন আলিয়া। বিজ্ঞাপনে হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ের সংস্কৃতি নিয়ে কিছুটা ধর্মীয় গোঁড়ামি তুলে ধরা হয়েছে। যেটা মোটেও ভালোভাবে নেয়নি নেটপাড়া। নেটিজেনদের মতে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে এই বিজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে। যেকারণে তুমুল কটাক্ষ থেকে ট্রোলিংয়ের শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপনী ভিডিওতে হিন্দুধর্মের বিয়ের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। বিয়েতে রীতি মেনে ‘কন্যাদান’ করা হয়, এই রীতিকেই একটি দমনকারী সংস্কৃতি হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। কেন শুধুমাত্র কন্যাদান কার হবে? পুরোনো ধর্মীয় গোঁড়ামী না মেনে নতুন এক বিকল্প চালুর জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে ভিডিওতে। বিজ্ঞাপনের আড়ালে হিন্দু সমাজের সংস্কৃতিকে অপমানের চেষ্টা করা হয়েছে। এই নিয়েই সূত্রপাত হয়েছে এই বিতর্কের।
বিখ্যাত পোশাক কোম্পানী মান্যবরের এই বিজ্ঞাপন যে প্রচারের পরিবর্তে অপপ্রচার বেশ করেছে সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হিন্দু ধর্মের বিয়ে নিয়েই কেন এই ধরণের বিজ্ঞাপনী তৈরী হল? অন্য ধর্মের বিয়ে নিয়ে কেন নয়? এই ধরণের প্রশ্ন তুলে ধরেছেন অনেকেই। বড় থেকে ছোট সমস্ত কোম্পানি নিজেদের আখের গোছানোর জন্য হিন্দু ধর্মকে অপমান করে এই ধরনের বিজ্ঞাপন চালাচ্ছেন! তাই নেটিজেনদের একাংশ বেশ ক্ষুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
আর বিজ্ঞাপনে যেহেতু আলিয়া ভাটকে দেখা যাচ্ছে তাই অভিনেত্রীকেও তুমুল কটাক্ষ ও ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমনকি ভাট পরিবারের পুরোনো কেচ্ছাও সামনে এসেছে। যেখানে আলিয়া ভাটের বাবা মহেশ ভাটের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি বয়ান ধরা হয়েছে। মহেশ ভাট বলেছিলেন, ‘পূজা আমার মেয়ে না হলে ওকেই বিয়ে করে নিতাম’।