আজও বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলার বলতে প্রথমেই যার নাম মুখে আসে তিনি হলেন যার নাম মুখে আসে তিনি হলেন সালমন খান (Salman Khan)। জীবনে একাধিকবার প্রেমে পড়লেও কোনও নারীই স্থায়ী ভাবে ধরা দেয়নি তাঁর জীবনে। কিন্তু একটা সময় সম্পর্ক নিয়ে সিরিয়াস ছিলেন ভাইজান নিজেও। এক্ষেত্রে সালমান খানের যে প্রাক্তন প্রেমিকার নাম একাধিকবার শিরোামে এসেছে তিনি হলেন সঙ্গীতা বিজলানি (Saangeeta Bijlani)।
একটা সময় তাঁদের সম্পর্ক বিয়ে অবধি গড়ালেও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যায়। জানা যায় সঙ্গীতার সাথে সালমানের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ২৭ মে। তার আগের বছরেই অর্থাৎ ১৯৯৩ সালে একবার এক সাক্ষাৎকারে সালমান নিজের বিয়ের ব্যাপারে বলেছিলেন ‘হ্যাঁ,আমি বিয়ে করার প্লান করছি। যখন সময় আসবে আমি বিয়ে করবো। সেটা সঙ্গীতাও হতে পারে অথবা অন্য কেউ হতে পারে।’
জানা যায় সেসময় বিয়ের তারিখ তো বটেই বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে অতিথিদের নাম ছাপানোর কাজ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় ভাইজানের বিয়ে। আর জন্য নাকি দায়ী ছিলেন সালমান নিজেই। এমনটাই দাবি করেছিলেন সঙ্গীতা বিজলানি। এছাড়া একথা সালমান নিজেও স্বীকার করেছিলেন। জানা যায় সেসময় সঙ্গীতার সাথে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও সালমান খানকে এক অন্য এক মহিলার সাথে হাতে নাতে ধরে ফেলেছিলেন সঙ্গীতা।
সালমানের এই স্বেচ্ছাচারী স্বভাবের জন্য শেষমেশ বিয়ে ভেঙে দেন সঙ্গীতা। জানা যায় সঙ্গীতা সালমানকে যার সাথে ধরে ফেলেছিলেন তিনি ছিলেন সোমি আলীর। কফি উইথ করণ চ্যাট শোতে গিয়ে একথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন সালমান। আর সালমানের সাথে বিচ্ছেদের পরপরই একি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের সূত্রে সঙ্গীতার সাথে পরিচয় হয় ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন।
সেসময় একাধিক ফিল্মি পার্টি এবং অনুষ্ঠানে তাঁদের একসাথে দেখা যেত। কিন্তু আজহারউদ্দিন ছিলেন আগে থেকেই বিবাহিত। তাঁর দুই সন্তানও ছিল। কিন্তু সঙ্গীতার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকায় শেষমেশ তিনি প্রথম স্ত্রী নওরিনকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। এরপর ১৯৯৬ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। যদিও সে বিয়েও টেকেনি। ২০১০ সালেই তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।