রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে গোটা দেশ তাঁর গানের জাদুতে মুগ্ধ। সেই আশির দশক থেকেই বলিউডে ডিস্কো গান মানেই সবার মুখে মুখে ঘুরতে শুরু করে একটাই নাম। তিনি হলেন সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri) । সদ্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান সংঙ্গীত শিল্পী। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। কোভিডকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
করোনা সেরে গেলেও তার রেশ কাটেনি। শরীরিক দুর্বলতাসহ বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রিতে শুরু হয় জোর গুঞ্জন। কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। বলা হচ্ছে চিরকালের জন্য নিজের কন্ঠ হারিয়েছেন তিনি। তাই ভবিষ্যতে আর তাঁর গলায় গান শোনা যাবে না। জানা গেছে বাপ্পি লাহিড়ী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর ইন্ডাস্ট্রির ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তাঁকে দেখতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে কারোর সঙ্গেই কথা বলতে পারেননি তিনি।
শুধু তাই নয় শোনা যাচ্ছে শরীর একেবারে ভেঙে গিয়ছে এই বর্ষীয়ান সঙ্গীত শিল্পীর। বাবার অসুস্থতার খবর পাওয়া মাত্রই কয়েক আগে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে দেশে ফিরেছেন বাপ্পা লাহিড়ী (Bappa Lahiri)। এখনও পর্যন্ত মুম্বাইতেই রয়েছেন তিনি। বর্তমানে মুম্বইতে থেকেই বাবার খেয়াল রাখছেন তিনি। বাপি লাহিড়ীর কন্ঠ নষ্ট হয়ে প্রসঙ্গে সম্প্রতি যে গুজব ছড়িয়েছে সে প্রসঙ্গে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তিনি।
বাবার অসুস্থতা সম্পর্কে সুরকার পুত্র বলেন ‘বাবা খুবই দুর্বল। ধীরে ধীরে শরীর ঠিক হচ্ছে। তবে ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় একেবারে সুস্থ হতে দেরি হচ্ছে।’ জানা গেছে করোনা ভালমতোই সুরকারের শরীরে এফেক্ট করেছে। পাশাপাশি বেড়েছে হাঁটুর সমস্যা। তাই এখন হাঁটুও প্রতিস্থাপন করা হবে তাঁর।
সেই সাথে বাবার কন্ঠ চলে যাওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন ‘যেটা রটেছে, সেটা মোটেই ঠিক নয়। এই কথা না বলাটা একেবারে চিকিৎসার অংশ। চিকিৎসকই বাবাকে বলেছেন কণ্ঠের বিশ্রাম দিতে। আশা করা যায় দুর্গাপুজোর আগেই বাবা ঠিক হয়ে যাবেন। এমনকী, পুজোর সময় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে একটি গানের রেকর্ডিংও রয়েছে বাবার।’