আজ বিশ্বকর্মা পূজো (Bishwakarma Pujo)। আজকের এই বিশেষ দিনে ঘুড়ি (Kite) ওড়ানোকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষের বিশেষ করে কলকাতাবাসীদের মনের মধ্যে ভীড় করে আসে ছোটোবেলার পুরনো নস্টালজিয়া। আকাশ জুড়ে রঙ বেরঙের ঘুড়ির মেলা আর মাঝে মধ্যেই কানে ভেসে আসা ভোকাট্টা শব্দ। এখনকার দিনে অবশ্য এমন দৃশ্য সচারচর চোখে পড়ে না। কালের নিয়মে ইঁদুর দৌড়ের ব্যাস্ততা হয়ে ওঠে অন্যতম কারণ।
তবুও আজও এমন অনেকেই আছেন যারা অন্তত একবার হলেও ঘুড়ি আর লাটাই হাতে ভোরের আলো ফুটতেই তড়িঘড়ি উঠে পড়েন বাড়ির ছাদে। তাই ঘুড়ির ঐতিহ্য আজও বাংলার মানুষদের কাছে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাই রাজ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এই ঘুড়ি তৈরিকে পেশা করেই অর্থ উপার্জন করে থাকেন।
উল্লেখ্য এই মুহূর্তে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো হল জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One)। অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায়ের অনবদ্য সঞ্চালনা এই অনুষ্ঠানে এনে দিয়েছে এক আলাদা মাত্রা। জনপ্রিয় এই খেলার অংশগ্রহণ করেন সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলে। জীবনে চরম কঠিনতম পরিস্থিতি দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই আর জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হন তাঁরা।
প্রতিযোগিতদের বাস্তব জীবনের লড়াই করার ঘটনা অনুপ্রাণিত করে অসংখ্য দর্শকদের। একথা ইতিমধ্যেই এই শোতে এসেই স্বিকার করে নিয়েছেন একাধিক প্রতিযোগিরা। তাদের দুঃখ, কষ্ট, সহ জীবনের না পাওয়া গুলোকে ভুলে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় মনোবলকে দিদি নাম্বার ওয়ানের মাধ্যমেই কুর্নিশ জানায় জি বাংলা। হাসি, মজা আর প্রচুর উপহারের ডালি নিয়ে দিনে দিনে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে এই শো।
আজ বিশ্বকর্মার পুজো উপলক্ষে দিদি নাম্বার ওয়ানে থাকছে বিশেষ পর্ব। যেখানে বাংলার এমনই এক গর্ব ঘুড়ি দিদির (Ghuri Didi) গল্প শোনানো হবে আজ। চ্যানেলের তরফে আজ সকালেই সোশ্যাল একটি ছোটো প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে। যা থেকে বলা হচ্ছে ‘লন্ডন থেকে দুবাই, পাঞ্জাব থেকে গুজরাটে ওড়ে তাঁরই হাতে তৈরি ঘুড়ি। রঙবেরঙের ঘুড়ি আর মাঞ্জায় আজ রঙিন তাঁর সংসার। মেয়েকে করে তুলছেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাংলার গর্ব এই ঘুড়ি দিদির গল্প শুনুন দিদি নাম্বার ওয়ানে।’