প্রমাণ হয়ে গেল মিঠাই (Mithai) নির্দোষ। মিঠাইয়ের উচ্ছেবাবুই মোদক গ্রুপের রান্নাঘরে আগুন লাগানোর রহস্যের সমাধান খুঁজে বের করল। সিদ্ধার্থ সিঙ্গাপুরে চলে যেতেই তোর্সা আর সোম মিলে মিঠাইকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সাধাসিধে মিঠাইকে বোকা বানিয়ে মাখনলালকে কাজে ঢোকায় সোম এরপর তাকে দিয়েই রান্নাঘরে আগুন লাগানো করায়। এরফাঁকে মাখনকে টাকা দেওয়া আর আদিত্য আগরওয়ালের সাথে ছবি তুলে রাখে সে।
আগুন লাগার পরেই পুলিশের কাছে সেই সমস্ত ছবি পৌঁছে দেয় সোম। যার ফলে সমস্ত সন্দেহ গিয়ে পরে মিঠাইয়ের ওপর। যে মিঠাই কিনা মোদক পরিবারের জন্য নিজের প্রাণটুকুও দিয়ে দিতে পারে তার ঘাড়েই দেওয়া হয় আগুন লাগানোর মত জঘন্য অপবাদ। এমনকি পুলিশ মিঠাইকে জেলে পর্যন্ত নিয়ে যায়। এই খবর পাওয়া মাত্রই সমস্ত কাজ ছেড়ে দেশে ফিরেছিল সিদ্ধার্থ।
বিদেশ থেকে ফিরে সবার আগে মিঠাইকে জেল থেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করে সিদ্ধার্থ। এরপর আসল দোষীকে খুঁজতে দিন রাত এক করে দিয়েছিল সে। ইতিমধ্যেই মাখনলাল ওরফে শঙ্করকে ধরে ফেলেছিল মিঠাই ও সিদ্ধার্থ। এদিকে মাখনলাল ধরা পড়তেই সোমের মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট হতে শুরু করেছিল। যেটা মিঠাইয়ের নজরে পড়ে। তবুও মিঠাই জানাতে চাইনি তার সন্দেহের কথা।
এরপর ভোরবেলায় মর্নিং ওয়াকের সময় রান্নাঘরের পাশেই রাখা গাড়ির ড্যাশ ক্যাম থেকেই মেলে আসল দোষীর সূত্র। ক্যামেরা রেকর্ডিং সোমের হাত পাঞ্জাবি দেখা মাত্রই মিঠাই বুঝতে পেরে যায় কার কাজ এটা! তবুও কিছুই বলতে চাইনি সে। এদিকে বাড়ি ফিরতেই সোমদের সেই পাঞ্জাবি মিঠাইয়ের হাতে চলে আসে। তখন গোপালের কাছে নিজের মনের কথা জানাতে যায় মিঠাই। মিঠাইয়ের কথা শুনেই সিদ্ধার্থ বুঝতে পারে কাউকে সন্দেহ করেছে সে।
এরপর যেটা হবার ছিল তাই হল, মিঠাই-সিদ্ধার্থের ঘরে আড়ি পাতছিল সোম। ঘর থেকে বেরোতেই সোমকে দেখে সোজা জিজ্ঞাসা করে সিদ্ধার্থ, এই সমস্ত কিছুর পিছনে কি সে জড়িত? প্রথমে একথা অস্বীকার করে সোম। বদলে দাদা ভাইয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের দোহাই দেয়। তবে সেসব টেকেনি তখনই তোর্সার ফোন আসে আর সত্যিটা জলের মত পরিস্কার হয়ে যায়। এখন এটাই দেখার যে কি শাস্তি পাবে সোম!