আর সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের মতো মোটেই ওমন গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ নন মদন মিত্র (Madan mitra)। বয়স বাড়লেও তার মনের রঙ এখনও ঝলমলে। বাংলার ক্রাশ তিনি। কোনোরকম রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়াও তিনি লাইভে এলে অনুরাগীরা ভীড় জমান সেখানে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সক্রিয় মদন মিত্রের জনপ্রিয়তা হার মানাবে যে কোনো তারকাকেও। আর তাকে ঘিরে প্রায়শই দেখা যায় টলি পাড়ার ‘লাভলি’ নায়িকাদের। সকলেই তার স্নেহধন্যা। নায়িকাদের ক্ষেত্রে বিজেপি তৃণমূল এসব দলের ভেদাভেদ ও মানেননা তিনি।
কখনো তিনি গলা ছেড়ে গান গান, তো কখনও তিনি টলি সুন্দরীদের সঙ্গে মাতেন দোল উৎসবে, কখনও ফুল নিয়ে পৌঁছে যান টেলি নায়িকাকে শুভেচ্ছা জানাতে। ধরাবাঁধা রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে তাকে এক করে ফেলা যায়না৷ এবার এই বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার ঝলমলে জীবন নিয়েই তৈরি হতে চলেছে বায়োপিক৷ রুপোলি পর্দায় এই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন টলি পরিচালক রাজা চন্দ।
এখনও পর্যন্ত অসংখ্য সুপারহিট ছবির পরিচালনা করেছেন রাজা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, চ্যালেঞ্জ টু, কিডন্যাপ, রংবাজ ইত্যাদি। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এই প্রসঙ্গে জানান, ‘গত দু’বছর ধরে বায়োপিক করার চাপ আসছিল। কিন্তু হেরে যাওয়া পরাজিত সৈন্য হিসেবে নয়, কামারহাটি রায়ের জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। কলেজ জীবন থেকে আজ পর্যন্ত ভোটে জেতা, মেসি-ব্রাজিল টিমকে নিয়ে আসা, কালও থাকবে ভালর সঙ্গে। জীবনে কিছু লুকনো উচিত নয়।’
কামারহাটির ‘ দামাল ছেলে ‘ তিনি। এই বয়সেও তার ব্যক্তিত্ব মুখে হাসি ফোটায় রাজনৈতিক ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে আমজনতার মুখে। এমন এক চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। এই বায়োপিকের কাস্টেও তাই স্বভাবতই রয়েছে চমক। জানা যাচ্ছে, সিনেমার পর্দায় মদন মিত্রের চরিত্রে অভিনয় করবেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)।