সদ্য শুরু হয়েছে অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bacchan) ‘কৌন বনেগা ক্রড়োরপতি’র ১৩ নম্বর সিজন (Kaun Banega Crorepati Season13)। গত বছরের মতোই চলতি সিজনেও করোনা সংক্রমণের জেরে কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই সম্প্রচারিত হচ্ছে গোটা অনুষ্ঠান। সেই কারণেই এবছর কোনও প্রতিযোগীরই বিগবির কাছে যাওয়ার অনুমতি নেই।
প্রতি এপিসোডেই বিগবি অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালনায় নিত্য নতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি। চলতি সপ্তাহের ‘শানদার শুক্রবার’-এর এপিসোডে হাজির হবেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দুই ওপেনিং পার্টনার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly),এবং বীরেন্দ্র শেওয়াগ (Virender Sehwag)। একদিকে অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালনা আর অন্য দিকে ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহা তারকার উপস্থিতি। সবমিলিয়ে এই চর্চিত এপিসোড নিয়ে দর্শকদের উত্তেজনা একেবারে তুঙ্গে।
সম্প্রতি চ্যানেল কতৃপক্ষের তরফে এই এপিসোডের একটি ছোট্টো প্রমো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে হট সিটে বসে থাকা অমিতাভ বচ্চনের সামনের অতিথি আসনে বসে রয়েছেন ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’ তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর পাশেই উপস্থিত রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনার শেওয়াগ। এই ছোট্ট প্রমোতে দেখা যাচ্ছে শুরু থেকেই নিজস্ব ভঙ্গিতে অমিতাভ বচ্চনের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে একের পর এক ছক হাঁকিয়ে চলেছেন শেওয়াগ।
এদিন শুরুতেই বিগবি প্রশ্ন করেন খেলার মাঝেই শেহওয়াগের গান গাওয়ার প্রবণতা নিয়ে। জবাবে শেহওয়াগ জানান ছয় মারার পর তিনি ‘চালা জাতা হু’ গান করেন। শট মারার ভঙ্গিতে গলা ছেড়ে ওই গানটি সকলের সামনে গেয়েও শোনান তিনি।এরপরই শহেনশা দুই ক্রিকেট তারকার উদ্দেশ্যে ফের প্রশ্ন করেন ফিল্ডিং করতে করতে যদি ক্যাচ মিস হয়ে যায় তখন কী প্রতিক্রিয়া হবে? উত্তরে সৌরভের দিকে ইশারা করে শেওয়াগ বলে ওঠেন, ‘কোচ যদি গ্রেগ চ্যাপেল হন, তবে গাইব ‘আপনি তো য্যায়সে তয়সে, থোরি এয়সে ইয়া ওয়সে কাট যায়েগি…. আপকা ক্যায়া হোগা জনাবে আলি…’। শেওয়াগের গান শুনে রীতিমতো কপাল চাপড়াতে থাকেন সৌরভ।
View this post on Instagram
পরের প্রশ্নে অমিতাভ জানতে চান ‘পাকিস্তানকে যদি ভারত হারিয়ে দেয়, তাহলে কী প্রতিক্রিয়া দেবেন?’ এবারও উত্তরে শেওয়াগ বলেন, ‘১৯৮৮ সালে ‘শাহেনশা’ সিনেমার একটা সংলাপের কথা মনে পড়ে গেল।’ ধরিয়ে দিয়ে অমিতাভ নিজেই বলে ওঠেন- ‘রিস্তে মে তো হাম তুমহারে বাপ লাগতে হ্যায়’, বিগ বি’র কথার রেশ টেনেই শেওয়াগ বলে ওঠেন ‘হ্যাঁ, আমরা তো ওদের বাবাই হই।’ শেওয়াগের এহেন রসিকতায় ভরপুর জবাব শুনে ততক্ষণে হাসিতে ফেটে পড়েছেন সৌরভ এবং অমিতাভ দুজনেই।