সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং সেলিব্রিটিদের কাছে এখন একেবারে জলভাতে পরিণত হয়েছে। নিন্দুকরা বোধ হয় সর্বক্ষণ আড়ি পেতে বসে থাকেন সেলিব্রেটিরা কখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো কিছু পোস্ট করবে আর তারা সেই বিষয়টা নিয়ে ট্রোল করে মজা লুটবেন। অনেকসময় সেলিব্রেটিরা যার পাল্টা উত্তর দিয়ে নেটিজেনদের মুখে ঝামা ঘষে দেন তো অনেকে আবার কোনো উত্তর না দিয়ে জাস্ট চুপ করে যান।
সাধারণত এধরনের ট্রোলিংয়ের মুখে পড়লেও বরাবরই পাল্টা মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলে পরিচিত সকলের প্রিয় বুম্বা দা ওরফে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee)। তবে বৃহস্পতিবার মাদার টেরেসার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর সাথে তোলা পুরনো একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন প্রসেনজিৎ। তাতেও আপত্তি নেটিজেনদের।
আসলে পুরনো ওই ছবিটির আসল ছবিতে প্রসেনজিৎ- এর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রী রায় আর তাঁর সামনেই চেয়ারে বসেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। নেটিজেনদের দাবি ছবি থেকে এইভাবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বাদ দিয়ে তাঁকে অসম্মান করেছেন এই অভিনেতা।
প্রসেনজিৎ-এর উদ্দেশ্যে করা একের পর এক কটাক্ষ উপচে পড়ে কমেন্ট বক্সে। যেখানে কেউ প্রশ্ন করেছেন, ‘কার সুনজরে থাকতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বাদ দিলেন? তো কেউ প্রশ্ন করেছেন , ‘জ্যোতি বসু নাকি নিজের প্রাক্তন স্ত্রী কাকে এড়ালেন? তাই শনিবার সমস্ত সমালোচনার জবাব দিতে নিজের ইনস্টাগ্রাম, এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পুরনো ছবিটির আসল ছবিসহ নিজের বক্তব্য বিবৃতি আকারে পেশ করেছেন। বিবৃতিতে অভিনেতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি খুব ভাল করেই জানেন যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ছবি তোলা মানেই সেই দলের সমর্থক হয়ে যাওয়া নয়। একই ভাবে বিরোধী দলের প্রতি সমর্থন না জানানোও নয়।
কমেন্ট বক্স থেকে পাওয়া আসল ছবিটি শেয়ার করে সেখানে ইংরেজিতে তিনি স্পষ্ট লিখেছেন,’সাধারণত ট্রোলের জবাব দিই না। তবে এবার জবাব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। কারণ ছবিতে যে ব্যক্তিরা রয়েছেন তাঁদের সম্মান করি। প্রথমত ছবিটি আমি কাটছাঁট করিনি। অনেক আগে এটা পেয়েছিলাম। ভাবলাম মাদার টেরেসার জন্মদিনে শেয়ার করি। পোস্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল মাদার টেরেসাকে সম্মান জানানো।’ শেষে তাঁর আরও সংযোজন ,’কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। উদার হোন। অপ্রয়োজনীয় ঘৃণা ছড়াবেন না।’