টলিউড সুপার স্টার দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev) অভিনয়ের পাশাপাশি এখন রাজনৈতিক জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দেবের একটি পুরনো ভিডিও। আসলে ভিডিওটি অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের (Saswata Chatterjee) জনপ্রিয় টকশো অপুর সংসারের একটি ক্লিপিংস। সেই ভিডিওতে ছোটবেলার স্মৃতিরোমন্থন করছেন দেব। এই টকশোতে দেবের সাথেই উপস্থিত ছিলেন তাঁর বান্ধবী রুক্মিণী মৈত্রও (Rukmini Maitra)।
কথায় আছে স্মৃতি সততই সুখের হয়। তবে এই কথাটা সব সময় যে সত্যি হবেই তা কিন্তু নয়। আর তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হল দেবের ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া হাড় হিম করা এক অভিজ্ঞতার কাহিনী। যা শুনে আঁতকে উঠেছেন সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দেবের বান্ধবী রুক্মিণী এমনকি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে। ঘটনার সূত্রপাত হয় এক গাজনের মেলাকে কেন্দ্র করে। ছোটবেলা থেকেই মা বাবার সাথেই দেব ছিলেন মুম্বাই নিবাসী। ছুটি পেলেই মাঝেমধ্যে গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে যেতেন তিনি।
তেমনি একবার ছোটবেলায় মামার বাড়ি এসে গাজনের মেলা দেখতে গিয়েছিলেন দেব। দেবের কথায় সেই সময় তিনি এতটাই ছোট ছিলেন যে সেই ঘটনার কথা এখন আর তার সবটা স্পষ্ট মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে সেবার গাজনের মেলা দেখতে গিয়ে হঠাৎ করেই বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর কি হয়েছিল তার কিছুই জানতেন না দেব। সেসময় গোটা একদিন বেহুশ হয়ে থাকার পর জ্ঞান ফিরেছিল তাঁর।
অন্যদিকে মুম্বাই নিবাসী মেয়ে-জামাইয়ের একমাত্র সন্তান দেব কে খুঁজে না পেয়ে বেজায় কান্নাকাটি শুরু করছিলেন দেবের দিদা। এরপর আর সময় নষ্ট না করে দেবের দিদি আর মামারা সারা গ্রামে তন্নতন্ন করে দেবকে খুঁজে বেড়ান। শেষমেশ তারা তাকে এলাকার একটি শ্মশানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। দেব জানান পরে তাঁর দিদা তাঁকে বলেছিলেন কেউ তাঁকে নেশার কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে শ্মশানে ফেলে রেখে গিয়েছিল আর এলাকার মানুষজন মরা ভেবে তাকে শ্মশানে পোড়াতেও নিয়ে যাচ্ছিল।
এছাড়াও দেব জানান তাকে খুঁজে না পেয়ে তার দিদা গাজনের কাছে মানত করেছিলেন যে দেবকে খুঁজে পেলে দেব বড় হলে তাঁকে দিয়ে গাজনের সন্ন্যাস পালন করাবেন। দিদার মানত রাখতে মাধ্যমিক পরীক্ষা পর আবার মামাবাড়ির গ্রামে গিয়েছিলেন দেব। সেবার এক সপ্তাহের জন্য তিনি ‘ভক্তা’ বা গাজনের সন্ন্যাসী হয়েছিলেন। অন্যান্য সন্ন্যাসীদের মতো তখন তিনিও মন্দিরে থেকে সমস্ত নিয়ম পালন করেছিলেন। আগুন, কাঁটা ঝাঁপ সবটাই করেছিলেন নিয়ম মেনে।